পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) অপসারণের দাবিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বুধবার সকাল থেকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা পটিয়া থানার সামনে অবস্থান নিয়ে থানার ওসি আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মহাসড়ক অবরোধ করেন।
সংগঠনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মোমবাতি প্রজ্বালনের কর্মসূচি পালন করতে পটিয়া থানার সামনে জড়ো হন। এ সময় তারা রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ ঘোষিত এক নেতাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের কাছে দাবি জানান।
পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করলে শিক্ষার্থীরা থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, এতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা।
এই ঘটনায় ১১ জন শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের মধ্যে আশরাফুল ইসলাম তৌকির (২১) ও সাইফুল ইসলাম (১৭) পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন, বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আহত তৌকির বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পুলিশের কাছে অনুরোধ করেছিলাম গ্রেপ্তারের জন্য। কিন্তু তারা আমাদের ওপর হঠাৎ আক্রমণ করে।”
দক্ষিণ চট্টগ্রাম অঞ্চলের আন্দোলনের সমন্বয়ক গোলাম মাওলা মোশাররফ বলেন, “পুলিশ অপরাধীদের গ্রেপ্তার না করে আমাদের হুমকি দিচ্ছে। আমরা পিছু হটব না।”
পরে জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীরা থানার ওসি ও এসআই-সহ দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
পটিয়া থানার ওসি আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূর বলেন, শিক্ষার্থীরা একজন নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকে থানায় নিয়ে আসেন এবং সেখানে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন। এ সময় সংঘর্ষে ৩–৪ পুলিশ সদস্য আহত হন।
পুলিশি হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করেন। তবে বিকল্প রুট ব্যবহার করে যান চলাচল চালু রাখা হয়েছে।
আন্দোলনকারীরা জানান, যদি ন্যায়বিচার না পাওয়া যায়, তবে আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে।