বর্তমানে একজন অভিনেতার জনপ্রিয়তা আর সাফল্য শুধুমাত্র অভিনয়ের দক্ষতা কিংবা বক্স অফিসের সংখ্যায় সীমাবদ্ধ নয়। প্রভাব তৈরি ও ধরে রাখার ক্ষেত্রে গণসংযোগ বা পিআর কৌশল হয়ে উঠেছে এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে সেই পথ সবার জন্য সহজ নয়। বলিউড অভিনেতা ভিক্রান্ত ম্যাসি সম্প্রতি রিয়া চক্রবর্তীর পডকাস্টে অকপটে জানালেন, কীভাবে পিআর কৌশল প্রয়োগ করতে গিয়ে নিজেই হারিয়ে ফেলেছিলেন নিজেকে।
“চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু ব্যর্থ হলাম”
পডকাস্টে ভিক্রান্ত বলেন, “অনেক সময় নিজের সিদ্ধান্ত নিয়েই আমি দ্বিধায় ভুগি। ভাবি ঠিক করছি কিনা, নিজেকে কিছুটা অন্যভাবে উপস্থাপন করা উচিত কিনা। পাপারাজ্জিদের সামনে গিয়ে ছবি তোলা বা নামি পার্টিতে যাওয়া—সবই তো একটা ধরনের কৌশল।”
তিনি আরও জানান, “৪-৫ মাস চেষ্টা করেছিলাম। নামকরা ডিজাইনারদের পোশাক ভাড়া করে পার্টিতে যেতাম। কিন্তু প্রতিবার একটা পোশাকের জন্য ৫০-৬০ হাজার টাকা লাগত। আমার স্ত্রী, তখনকার প্রেমিকা, বলেছিল—এই ক’ঘণ্টার জন্য এমন খরচ কেন? এটা তো পুরো মাসের খরচ!”
স্বস্তি পাননি, ফিরে গেছেন নিজের পথে
ভিক্রান্ত বলেন, “আমি টের পেলাম, এইসব ফ্যাশন পার্টি আর দামি পোশাকে আমি নিজেকে খুঁজে পাচ্ছি না। সবসময় ভয় করতাম, পোশাক নোংরা হয়ে যাবে, কারণ ফেরত দিতে হয়। এত সব কৃত্রিমতার মধ্যে স্বস্তি নেই।”
বর্তমানে বলিউডে প্রায়ই দেখা যায় অভিনেতাদের বিমানবন্দরে বিভিন্ন ‘এয়ারপোর্ট লুক’-এ ক্যামেরার সামনে পোজ দিতে। এসবই পিআর কৌশলের একটি অংশ। কিন্তু ভিক্রান্তের মতে, এটি সবার জন্য নয়।
ভিক্রান্ত ম্যাসির পরবর্তী সিনেমা
ভিক্রান্ত ম্যাসিকে পরবর্তীতে দেখা যাবে রোমান্টিক ড্রামা ‘আঁখোঁ কি গুস্তাখিয়া’ সিনেমায়। এতে শানায়া কাপুরের অভিষেক ঘটছে। সিনেমাটি নির্মাণ করছেন সন্তোষ সিংহ, চিত্রনাট্য লিখেছেন মানসি বাগলা এবং প্রযোজনা করছে জি স্টুডিওস ও মিনি ফিল্মস।
দৃষ্টিহীন দুই চরিত্রের ভালোবাসা ও সম্পর্কের জটিলতা ঘিরে গড়ে উঠেছে কাহিনি। সিনেমাটি মুক্তি পাবে ১১ জুলাই।
ভিক্রান্ত ম্যাসির এই স্বীকারোক্তি বলিউডের উজ্জ্বল জগতে বাস্তবতার এক নিখুঁত প্রতিফলন—যেখানে নাম, পোশাক আর প্রচার নয়, নিজের প্রতি সততা-ই সবচেয়ে বড় পরিচয়।