জাতীয় ঐক্য ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বর্তমান সুযোগ দ্রুত কাজে লাগাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার রাজধানীতে আয়োজিত একটি আলোচনা সভায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমাদের সামনে যে সুযোগ এসেছে, তা দ্রুত কাজে লাগিয়ে নতুনভাবে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। এই কাজে জাতীয় ঐক্য রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।”
রাজধানীর চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘গণজাগরণ ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক যাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভাটি বিএনপি আয়োজন করে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে দলটি ৩৬ দিনব্যাপী একটি বিস্তৃত কর্মসূচির সূচনা করে, যা গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়া বলেন, “বেকারত্ব দূরীকরণ, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সর্বোপরি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা—এই তিনটি বিষয় এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনো মূল্যে আমাদের এগুলো রক্ষা করতে হবে।”
২০২৪ সালের গণজাগরণসহ পূর্বের আন্দোলনে যাঁরা জীবন দিয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে খালেদা বলেন, “আমাদের বীরদের রক্ত এবং মায়েদের অশ্রু যেন ব্যর্থ না হয়। জাতীয় ঐক্য অটুট রাখতে হবে।”
অনুষ্ঠানটি ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, যিনি যুক্তরাজ্য থেকে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
আলোচনা সভায় অংশ নেন পূর্ববর্তী রাজনৈতিক আন্দোলনে নিহতদের পরিবার-পরিজনের সদস্যরাও। তারা আন্দোলনে প্রাণ হারানো প্রিয়জনদের স্মৃতিচারণ করেন এবং শহিদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে নতুন করে গণতন্ত্র ও ঐক্যের প্রশ্নে আলোচনা তৈরি হয়েছে।