ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে লিওনেল মেসির দল ইন্টার মায়ামিকে ৪-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে ফরাসি জায়ান্টরা।
ম্যাচের শুরুতেই জোয়াও নেভেসের গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। প্রথমার্ধের মধ্যেই আরও তিন গোল করে তারা ম্যাচ প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে মেসি অসাধারণ খেলেন এবং ইন্টার মায়ামি কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখাতে সক্ষম হয়, তবে গোলের দেখা মেলেনি।
পিএসজি কোচ লুইস এনরিক বলেন, “মেসির মতো খেলোয়াড়দের বিপক্ষে খেলা সহজ নয়। ম্যাচটি যতটা সহজ মনে হয়, বাস্তবে ততটা সহজ ছিল না। প্রথমার্ধে আমরা দারুণ খেলেছি, তবে দ্বিতীয়ার্ধে ইন্টার মায়ামির মান আরও ভালোভাবে বোঝা গেছে।”
তিনি আরও বলেন, “এটা আমাদের ক্লাবের ইতিহাসের সেরা মৌসুম। আমরা ট্রেবল জিতেছি—চ্যাম্পিয়নস লিগ, লিগ ওয়ান ও ফ্রেঞ্চ কাপ। এখন আমাদের লক্ষ্য ক্লাব বিশ্বকাপের ট্রফি জেতা।”
পিএসজির উইঙ্গার উসমান দেম্বেলে জানান, তিনি মেসি এবং তার প্রাক্তন বার্সা সতীর্থদের সঙ্গে পুনর্মিলনে আনন্দিত। পিএসজি ডিফেন্ডার লুকাস বেরালদো বলেন, “মেসির সঙ্গে একটি ম্যাচ ভাগাভাগি করা আমার জীবনের একটি বিশেষ মুহূর্ত। ছোটবেলায় টিভিতে তার খেলা দেখেই বড় হয়েছি।”
মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাচেরানো বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ছিল একটি নির্দিষ্ট স্তর পর্যন্ত লড়াই করা। বাস্তবতা তা স্পষ্ট করে দিয়েছে। তবে আমি আমার খেলোয়াড়দের প্রচেষ্টায় গর্বিত।”
মাচেরানো যোগ করেন, “মেসি আজও দেখিয়েছেন কেন তিনি বিশ্বের সেরা। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা তাকে বেশি খুঁজে পেয়েছি, প্রথমার্ধে পিএসজির চাপের কারণে তা সম্ভব হয়নি।”
ম্যাচে দর্শকদের মধ্যে মেসির উপস্থিতিই ছিল সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। প্রায় প্রতিটি গ্যালারিতেই ছিল মেসির নাম লেখা ১০ নম্বর জার্সি।
শেষে মাচেরানো বলেন, “পিএসজি হয়তো এখন বিশ্বের সেরা দল, কিন্তু মানুষ এখনও টিকিট কাটে মেসিকে দেখার জন্য—সে এখনো জাদু দেখাতে জানে।”
