এনবিআর সংস্কারবিরোধী আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দুদকের মহাপরিচালক মো. আখতার হোসেন জানান, এনবিআরের অতিরিক্ত কমিশনার হাসান তারেক রিকাবদার ও সদস্য একেএম বাদিউল আলমসহ মোট ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, “সতর্ক যাচাই-বাছাই শেষে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।”
দুদক প্রধানের ভাষ্য অনুযায়ী, একাধিক এনবিআর কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের মালিকদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে কর ফাঁকিতে সহায়তা করছিলেন। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অঢেল অপ্রদর্শিত সম্পদের মালিক হয়েছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, কর ফেরতের সময় বা অতিরিক্ত কর আদায়ের পর অর্থ ফেরতের জন্যও এনবিআর কর্মকর্তারা ঘুষ আদায় করতেন।
দুদক জানিয়েছে, অনুসন্ধান চলাকালীন প্রয়োজনে অভিযুক্তদের সম্পদের হিসাব ও ব্যাংক লেনদেন খতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে, এনবিআর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দুদকের এই পদক্ষেপ এনবিআর সংস্কারবিরোধী আন্দোলনের পটভূমিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
দুদক কর্মকর্তারা বলছেন, রাজস্ব খাতে স্বচ্ছতা আনতে এই তদন্ত একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।