বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স অভিযোগ করেছেন, কিছু রাজনৈতিক দল পরিকল্পিতভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে উসকানিমূলক প্রচার ও বক্তব্য দিচ্ছে, যার উদ্দেশ্য দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করা।
শনিবার ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ওলামা দল ও শ্রমিক দলের উপজেলা ইউনিটের নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। স্থানীয় হোটেল ইমেক্স অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি বলেন, “বিএনপির রাজনীতির গ্যারান্টি হচ্ছে জনগণ। তাই বিএনপি দ্রুত নির্বাচনে যেতে চায় এবং জনগণের রায় নিতে চায়।”
তিনি আরও বলেন, “যারা জনগণের সমর্থন নিয়ে সন্দিহান, তারাই নির্বাচনের ভয় দেখায়।”
প্রিন্স দাবি করেন, বিএনপিকে ঘিরে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হলেও কিছু রাজনৈতিক দল একদিকে নির্বাচন বিলম্ব করতে চাইছে, অন্যদিকে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে রাজনৈতিক সংকট তৈরির চেষ্টা করছে।
সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং অধ্যাপক ড. ইউনূসের মধ্যে লন্ডনে একটি বৈঠক হয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রিন্স বলেন, “উভয়েই আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন চায়। অথচ এখন কিছু দল নির্বাচন থেকে দৃষ্টি সরিয়ে দিয়ে জনস্বার্থবিরোধী, অগণতান্ত্রিক ইস্যু তুলে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছে।”
তিনি আরও বলেন, জনগণ সরাসরি তাদের পছন্দের দল, প্রতীক ও প্রার্থীকে ভোট দিতে চায়, কোন আসন বণ্টনের ভিত্তিতে নয়। গত ১৫ বছর ধরে জনগণ স্থানীয় নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করেনি, বরং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে থেকেছে।
আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে প্রিন্স বলেন, “যারা এখন রাজনৈতিক উত্তরণ নিয়ে কথা বলছে, তারাই একটি ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পুনর্বাসনের পথ তৈরি করছে। এই দলগুলোই গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের নাটকে অংশগ্রহণ করেছিল, এখন আবার তারাই তাকে ফিরিয়ে আনতে চাইছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, ন্যায়বিচার দাবি করা একটি দল বিএনপির সঙ্গে অন্যায় আচরণ করছে, অথচ তারা বিএনপির আন্দোলনের কারণে তৈরি রাজনৈতিক পরিবেশ থেকেই সুবিধা পেয়েছে।
প্রিন্স ওলামা দল ও শ্রমিক দল নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা আলেম সমাজ ও শ্রমজীবী জনগণকে বিএনপির পতাকার নিচে ঐক্যবদ্ধ করেন।