যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি দেওয়া উচ্চ শুল্ক আরোপ এড়াতে আগামী সপ্তাহে আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন থাইল্যান্ডের অর্থমন্ত্রী পিচাই চুনহাভাজিরা। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম থাই নিউজ এজেন্সি এমসিওটি জানিয়েছে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকের সময়সূচি ঠিক করেছেন।
ট্রাম্পের ঘোষিত “লিবারেশন ডে” নীতির আওতায় থাইল্যান্ডের কিছু প্রধান পণ্য রপ্তানিতে ৩৬ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি রয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে এ শুল্ক এড়াতে না পারলে আগামী মাসে এ শুল্ক কার্যকর হতে পারে।
সরকারি ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, “এই মুহূর্তে অনলাইনে যে বলা হচ্ছে শুল্ক কমে ১৮ শতাংশ হতে পারে, সেটা কেবল অর্থনীতিবিদদের অনুমান। এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি।”
এর আগে মে মাসে পিচাই বলেছিলেন, বাণিজ্য ভারসাম্য কমানো এবং মার্কিন রপ্তানি পণ্যের থাই বাজারে প্রবেশ সহজ করাই আলোচনার মূল লক্ষ্য।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে থাইল্যান্ডের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য বাণিজ্যে ঘাটতি ছিল ৪৫.৬ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ১১.৭ শতাংশ বেশি।
গত মাসে থাই সরকার তাদের ২০২৫ সালের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৩.২ থেকে ৪.২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২.৩ থেকে ৩.৩ শতাংশ করেছে। কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেছে “পারস্পরিক শুল্ক” নিয়ে অনিশ্চয়তা।
এএফপি সূত্রে জানা যায়, অর্থমন্ত্রীর দলের একজন প্রতিনিধি এখনো সফরের বিস্তারিত নিশ্চিত করতে পারেননি।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশই ট্রাম্প প্রশাসনের “পারস্পরিক শুল্ক” হুমকির আওতায় রয়েছে। ক্যাম্বোডিয়ার রপ্তানিতে ৪৯ শতাংশ, ভিয়েতনামের ৪৬ শতাংশ এবং মিয়ানমারের রপ্তানিতে ৪৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বলা হয়েছে।