কেনসিংটন ওভালে প্রথম টেস্টেই তিনদিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৫৯ রানে হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের শেষ দিন শুক্রবার ৩৩.৪ ওভারে মাত্র ১৪১ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস। অস্ট্রেলিয়ার পেসার জশ হ্যাজলউড ৪৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষ ব্যাটিং লাইনআপ ধ্বংস করেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে অ্যালেক্স ক্যারি (৬৫), বো ওয়েবস্টার (৬৩) ও ট্রাভিস হেড (৬১) হাফসেঞ্চুরি করে দলকে ৩১০ রানে পৌঁছে দেন। আগের দিন ৬৫ রানে ৪ উইকেট হারানো দলটি সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় এই তিন ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে শামার জোসেফ ৮৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচে মোট ৯টি উইকেট শিকার করেন। তবে দলের বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতায় তা কোনো ফল বয়ে আনতে পারেনি। ২০০ রানের বেশি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ম্যাচের শুরুতেই সাবেক অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে হারায় স্বাগতিকরা।
এরপর হ্যাজলউডের নিখুঁত লাইনে জন ক্যাম্পবেল ও ব্র্যান্ডন কিংকে টানা দুই বলে আউট করে দেন। এরপর অধিনায়ক রস্টন চেজ ও কেসি কার্টির উইকেট তুলে নেন তিনি। প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করা শাই হোপকে প্যাট কামিন্স বিদায় করেন।
মার্নাস লাবুশানে একটি দুর্দান্ত থ্রোয়ে আলজারি জোসেফকে রান আউট করেন। এরপর হ্যাজলউড ফেরেন ওয়ারিকানকে ফিরিয়ে। শামার জোসেফ ২২ বলে ৪৪ রান করে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও অফ-স্পিনার নাথান লায়নের বলে তিনি আউট হন। একই ওভারে জেডেন সিলসকেও আউট করে ম্যাচের ইতি টানেন লায়ন।
ম্যাচ শেষে হ্যাজলউড বলেন, “এই উইকেটে সঠিক লেংথে বল করা ও ধৈর্য ধরা রাখাটাই ছিল মূল কৌশল। কিছু বল নিচু হচ্ছিল, আবার কিছু হালকা উঠে আসছিল।”
অস্ট্রেলিয়ার শুরু থেকেই আগ্রাসী মনোভাব ছিল। হেড ও ওয়েবস্টার ১০২ রানের পার্টনারশিপে সেটি স্পষ্ট করেন। হেড আউট হন লাঞ্চের আগে শামার জোসেফের বলে। যদিও তার আগে দ্বিতীয় স্লিপে জাস্টিন গ্রেভস একটি সহজ ক্যাচ ফেলে দেন, তখন হেডের রান ছিল ২২।
ম্যাচজুড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্লিপ ফিল্ডিংয়ে দুর্বলতা চোখে পড়ে। প্রথম দিনেই চারটি ক্যাচ পড়ে যায়, ম্যাচজুড়ে মোট সাতটি ক্যাচ ফেলেছে তারা।
অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের শেষ ইনিংসে দ্রুত রান তুললেও নিয়মিত উইকেট হারিয়েছে। তবে ৩১০ রান তুলতে তেমন সমস্যা হয়নি। শেষ ব্যাটার হ্যাজলউড আউট হলে ইনিংস গুটিয়ে যায়।
শেষতক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই দিন আগেই হেরে বসে। ব্যাটিং ব্যর্থতা আর ফিল্ডিংয়ের দুর্বলতাই ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় তাদের। আর অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্টে জয় তুলে নিয়ে সিরিজে এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে।