দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে লাইভ-অ্যাকশন ‘আকিরা’ নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে শেষ পর্যন্ত হাল ছেড়েছে ওয়ার্নার ব্রাদার্স। জাপানি সাই-ফাই ক্লাসিকের এই অধিকার ফিরে গেছে মূল প্রকাশনা সংস্থা কোডানশার হাতে।
কাতসুহিরো ওতোমোর রচিত ও ১৯৮৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অ্যানিমে ‘আকিরা’ বিশ্বব্যাপী প্রাপ্তবয়স্ক অ্যানিমেশনের জনপ্রিয়তা বাড়াতে সহায়ক হয়েছিল। ২০০২ সালে ওয়ার্নার ব্রাদার্স সিনেমার অধিকার কিনে নেয় এবং পরিচালকের দায়িত্ব দেন ব্লেড নির্মাতা স্টিফেন নরিংটনকে। এরপর নানা নির্মাতা, লেখক ও প্রযোজকের হাতবদল এবং বাজেট জটিলতায় আটকে যায় প্রকল্পটি।
প্রজেক্টটি নিয়ে কাজ করেছেন গ্যারি উইটা, স্টিভ ক্লোভস, এলেন ও আলবার্ট হিউজেসসহ অনেকে। কিন্তু কখনোই আলোর মুখ দেখেনি এই প্রয়াস। এমনকি ২০১২ সালে প্রি-প্রোডাকশনে গিয়ে ৯০ মিলিয়ন ডলারের বাজেটে শুরু হতে যাওয়া প্রজেক্ট বন্ধ করে দেয় ওয়ার্নার।
২০১৭ সালে ‘জোজো র্যাবিট’ নির্মাতা তাইকা ওয়াইতিতি দায়িত্ব নেন। তার উদ্যোগ অনেক দূর অগ্রসর হলেও পরবর্তীতে থর: লাভ অ্যান্ড থান্ডার এবং দ্য ম্যান্ডালোরিয়ান প্রকল্পে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। ফলে ‘আকিরা’ আবারও থেমে যায়।
মূল কাহিনিতে দেখা যায়, টোকিও শহর ধ্বংসের পর গড়ে ওঠা নব্য টোকিওতে এক কিশোর তেতসু শক্তিশালী টেলিকিনেটিক ক্ষমতা অর্জন করে। তার বিরুদ্ধে দাঁড়ায় তার শৈশবের বন্ধু এবং গ্যাং নেতা কানেদা।
বর্তমানে কোডানশা অধিকার ফিরে পেয়ে সিনেমাটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য নতুন স্টুডিও ও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আলোচনা করছে।
এ বছরের শুরুতেও ‘টেক্সাস চেইনসো মাসাকার’ ও ‘জেসন বোর্ন’ সিরিজের অধিকার বাজারে এসেছে। ‘আকিরা’র নতুন যাত্রা নিয়ে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে অ্যানিমে সিনেমাটির একটি উক্তি উল্লেখযোগ্য — “ভবিষ্যৎ একরৈখিক নয়। সেখানে বহু মোড় আছে। আমাদের উচিত সেই ভবিষ্যৎ বেছে নেওয়া, যেটি আমাদের প্রাপ্য।”