চেলসিতে যোগদানের আগে ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপে দারুণ আলো ছড়াচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান তরুণ এস্তেভাও উইলিয়ান। পালমেইরাসের হয়ে খেলছেন বিদায়ী টুর্নামেন্ট, এরপরই ইংল্যান্ডের স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে যাত্রা।
১৮ বছর বয়সী এই উইঙ্গার এখন যুক্তরাষ্ট্রে ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপের শেষ ষোলোতে পালমেইরাসের হয়ে বোটাফোগোর মুখোমুখি হবেন শনিবার ফিলাডেলফিয়ায়। একই দিনে চেলসি যদি বেনফিকাকে হারায়, তবে কোয়ার্টার ফাইনালে নিজের ভবিষ্যৎ ক্লাবের বিপক্ষেই মাঠে নামতে পারেন এস্তেভাও।
চেলসি গত বছরই পালমেইরাসের সঙ্গে চুক্তি করে এ তরুণকে দলে নিতে। প্রায় ৫৭ মিলিয়ন ইউরোর এই চুক্তি কার্যকর হবে নতুন প্রিমিয়ার লিগ মৌসুমের আগে। কিন্তু এখনই তার পারফরম্যান্সে মুগ্ধ ফুটবলবিশ্ব।
গত মৌসুমে ব্রাজিলিয়ান লিগে অন্যতম সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে ‘গোল্ডেন বল’ জেতেন, যা প্রমাণ করে ১৭ বছর বয়সেই তিনি কতটা পরিণত। ডানদিক থেকে বাঁ পায়ে কাট-ইনের খেলায় নেইমারের মতোই দক্ষ, আর তাই অনেকেই তাকে ডাকে “মেসিনহো” নামে।
এস্তেভাও ইতিমধ্যেই জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলেছেন, যেখানে কোচ আনচেলোত্তি তাকে প্রথম একাদশে সুযোগ দেন। নিজেই বলেছিলেন, “স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে, তবে এখন পালমেইরাসেই মনোযোগ।”
এই ক্লাবেই তিনি সিনিয়র ক্যারিয়ার শুরু করেন মাত্র ১৬ বছর বয়সে। এরপর কনমেবল লিবার্তাদোরেস জয়ের সুবাদে ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপে খেলার সুযোগ পান। এবার এই মঞ্চে এস্তেভাও খেলেছেন তিনটি ম্যাচেই, ৪১ নম্বর জার্সি গায়ে।
সর্বশেষ ম্যাচে ইন্টার মায়ামির বিপক্ষে খেলে পেয়েছেন জীবনের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত। প্রিয় খেলোয়াড় লিওনেল মেসির বিপক্ষে খেলার সুযোগ পান এবং অর্ধবিরতিতে মেসির সঙ্গে জার্সি বদল করেন।
“সত্যি অসাধারণ অভিজ্ঞতা। ছোটবেলা থেকেই মেসির খেলা দেখে এসেছি, ভিডিও গেমেও তাকে বেছে নিই। তার সঙ্গে মাঠে থাকা ছিল স্বপ্নের মতো,” বলেন এস্তেভাও।
একটি আর্টিকেলে তিনি বলেন, “অনেকেই জিজ্ঞাসা করে কেন চেলসি বেছে নিলাম। তারা জানে না ক্লাবটি আমাকে কতটা গুরুত্ব দিয়েছে। যে পরিকল্পনা তারা দিয়েছে, তাতে আমরা নিশ্চিত হয়েছি লন্ডনই সঠিক সিদ্ধান্ত।”
এখন পালমেইরাসের হয়ে শেষ ক’টা দিন উপভোগ করতে চান তিনি। এরপরই অপেক্ষা চেলসির সঙ্গে নতুন এক অধ্যায়ের। ফুটবলবিশ্ব তাকিয়ে আছে—এস্তেভাও হয়ে ওঠেন কিনা ব্রাজিলের নতুন প্রতিভা, যাকে নেইমার ডেকেছেন “পরবর্তী জিনিয়াস” বলে।