বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক মিত্রদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির আলোচনা শুরু হবে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরই।
বৃহস্পতিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমরা এখনো সেই পর্যায়ে পৌঁছাইনি যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা শুরু করব। এই প্রক্রিয়াটি তখনই শুরু হবে যখন নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে এবং নির্বাচনকেন্দ্রিক কার্যক্রম শুরু হবে।”
বৈঠকে উপস্থিত দুই পক্ষ সাম্প্রতিক সময়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিষয়ে আলোচনা করেন।
খসরু জানান, উভয় পক্ষই খুশি যে নির্বাচন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা ভবিষ্যতের জন্য করণীয়, বিশেষ করে ৩১ দফা সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে আলোচনা করেছি। আন্দোলনে আমরা যেমন ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, ঠিক তেমনি নির্বাচন, সরকার গঠন এবং সংস্কার বাস্তবায়নেও আমরা একসাথে থাকব।”
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, “যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য থাকবে, সেসব ক্ষেত্রেই সংস্কার কার্যক্রম চালানো হবে। একমতের বাইরে কিছু করার সুযোগ নেই।”
তার ভাষায়, “প্রত্যেকটি দলের নিজস্ব রাজনৈতিক দর্শন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা থাকে। তাই সব বিষয়ে একমত হওয়া জরুরি নয়। কিছু বিষয় বিএনপির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, আবার কিছু অন্য দলের জন্য। এই পার্থক্য থেকেই নির্বাচনকালে জনগণের সামনে উপস্থাপন করা হবে আলাদা মতামতগুলো।”
এসময় তিনি বলেন, বিএনপি এখন অপেক্ষায় আছে সরকারের সিদ্ধান্তের, যাতে আদালতের রায়ের ভিত্তিতে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ করানো হয়।
“আদালত ইশরাককে বৈধ মেয়র ঘোষণা করেছে। নির্বাচন কমিশনও এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। তাই আইনগতভাবে তার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণে কোনো বাধা নেই,” বলেন খসরু।
তিনি আরও বলেন, “আইনের শাসনে আমরা বিশ্বাস করি। তাই যদি সত্যিকারের আইনের শাসন অনুসরণ করা হয়, তাহলে ইশরাকের শপথ গ্রহণ হওয়া উচিত। এখন আমরা সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি।”