লিডসের হেডিংলেতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে পাঁচ উইকেটে পরাজিত হওয়ায় ভারতের পারফরম্যান্স নিয়ে সাবেক খেলোয়াড়রা কঠোর সমালোচনা করেছেন। ব্যাটিং ব্যর্থতা, বাজে ফিল্ডিং এবং অনুজ্জ্বল বোলিংকে দায়ী করেছেন তাঁরা।
অধিনায়কত্বে নতুন শুবমান গিলের নেতৃত্বে খেলা ভারতের তরুণ দল কোহলি এবং রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতে শেষ দিনে ৩৭১ রানের লক্ষ্যকে যথেষ্ট মনে করলেও তা সহজেই তাড়া করে জিতে যায় ইংল্যান্ড।
ভারতের হয়ে পাঁচজন ব্যাটসম্যান শতক করলেও প্রথম ইনিংসে ৪৩০/৩ থেকে ৪৭১ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৩/৪ থেকে ৩৬৪ রানে অলআউট হওয়ায় ম্যাচে তারা পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হারায়।
ম্যাচের শেষ দিনে ৯৭ রানে থাকা বেন ডাকেটের ক্যাচ মিস করেন যশস্বী জয়সওয়াল, যিনি পরে ১৪৯ রানের ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন।
সাবেক অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার বলেন, “ভারতের পাঁচটি শতক থাকা সত্ত্বেও ইংল্যান্ডের আত্মবিশ্বাসই জয় এনে দিয়েছে। তারা শেষ উইকেটগুলো তুলে নিতে দৃঢ় ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “ভারতের ফিল্ডিং ছিল অনেক নিচু মানের। শুধু ক্যাচ নয়, আউটফিল্ডিংও ছিল দুর্বল।”
ভারতের পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেও শেষ ইনিংসে উইকেটশূন্য ছিলেন। স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা শেষ দিনে বল করেও মাত্র ১ উইকেট নিতে পারেন, যেখানে ডাকেট বারবার রিভার্স সুইপে রান তুলেছেন।
ভারতের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান সঞ্জয় মাঞ্জরেকার বলেন, “জাদেজার কাছে আমরা আরও ভালো কিছু প্রত্যাশা করেছিলাম। শেষ দিনে পিচের অবস্থা তার পক্ষে ছিল, তবুও কাজে লাগাতে পারেননি।”
তবে ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর নিচের সারির ব্যাটসম্যানদের পক্ষে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, “ওরা নিজেরাই সবচেয়ে হতাশ ছিল, কারণ ওরাও জানতো আমাদের জয়ের সুযোগ ছিল। আশা করি, তারা শিক্ষা নেবে এবং ভবিষ্যতে ভালো করবে।”
সার্বিকভাবে, ভারতীয় দলের এই হারের পেছনে মূল কারণ ছিল দুই ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যাটিং ধস, ফিল্ডিং ব্যর্থতা এবং শেষ দিনে কার্যকর বোলিংয়ের অভাব। ইংল্যান্ড তাদের সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে দারুণভাবে ম্যাচ জিতে নেয়, যা ভারতের জন্য কঠিন শিক্ষা হয়ে থাকল।
