নাটোর সম্মেলনে অংশ নিতে এসে প্রথমে ক্ষুব্ধ ও আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করলেও, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে একেবারেই ভিন্ন রূপে দেখা গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
সম্মেলনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আয়োজকরা তার মন রক্ষা করতে যা যা করা সম্ভব, সবই করেছে। এর মধ্যে ছিল ডাচ রাজপরিবারের সঙ্গে নৈশভোজ, রাজপ্রাসাদে রাতযাপন এবং ব্যক্তিগতভাবে সম্মান জানানো।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে হাস্যোজ্জ্বল ট্রাম্প বলেন, “সম্মেলনটি ছিল দারুণ, একটি বড় সাফল্য।”
ডাচ রাজা উইলেম-আলেকজান্ডার ট্রাম্পকে হুইস টেন বোশ প্রাসাদে রাজকীয় নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানান। ব্লু বারোক বলরুমে আয়োজিত এই আয়োজনে ট্রাম্প মুগ্ধ হয়ে রাজা ও রাণীর প্রশংসা করে বলেন, “তারা অসাধারণ মানুষ।”
এরপর সকালে রাজা ও রাণীর সঙ্গে প্রাতঃরাশ করে ট্রাম্প বলেন, “চমৎকার নাশতা। এমন আতিথেয়তা আগে কখনো পাইনি।”
সেইদিন সকালেই তিনি ‘দ্য বিস্ট’ গাড়িতে করে সম্মেলনস্থলে পৌঁছান এবং নেদারল্যান্ডসকে ‘সবচেয়ে সুন্দর দেশ’ আখ্যা দেন।
প্রথমদিন ট্রাম্প ন্যাটোর আর্টিকেল ফাইভ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এবং ইরান-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ নিয়ে প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় দিনে তার আচরণ ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত।
ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে তাকে বলেন, “আপনি শুধু শক্তির প্রতীক নন, আপনি শান্তির মানুষও।”
ট্রাম্প সম্মেলনে বলেন, “আমরা তাদের পাশে আছি পুরোপুরি। আমি মনে করি, এই সম্মেলন ছিল অসাধারণ।”
আগের দিনের ক্ষুব্ধ ভাষা ভুলে গিয়ে ট্রাম্প যোগ করেন, “আমি ডাচ রাজার আতিথেয়তায় মুগ্ধ। এমন রাজকীয় আচরণ আমি কখনো পাইনি।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের মন রক্ষা করতে আয়োজকরা অত্যন্ত সচেতনভাবে সমস্ত কর্মসূচি সাজিয়েছে। এতে সম্মেলনে ঐক্য রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
রাজনৈতিক উত্তেজনা সত্ত্বেও এই সম্মেলনে ট্রাম্পের সদর্থক মনোভাবই শেষ পর্যন্ত আলোচনার প্রধান সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
