বাংলাদেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ রেখে যেতে পারব, যেখানে থাকবে নির্মল পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য।”
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে অধ্যাপক ইউনূস এসব কথা বলেন। এ বছর জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (UNEP) ঘোষিত প্রতিপাদ্য ছিল ‘প্লাস্টিক দূষণের অবসান’। বাংলাদেশে দিবসটি ২৫ জুন পালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, “আমি আনন্দিত যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পরিবেশ দিবস উদযাপনের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় গণসচেতনতা সৃষ্টি হচ্ছে।”
অধ্যাপক ইউনূস জানান, সরকার ইতোমধ্যে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও স্থানীয়দের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে, যাতে করে দ্বীপটির পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষিত থাকে।
তিনি আরও বলেন, গত এক দশকে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনার অভাব পরিবেশে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
এক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা জানান, পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধে সারাদেশে নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রম চলছে। এছাড়া পরিবেশবান্ধব বিকল্প উদ্ভাবন ও অনুমোদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্লাস্টিক বর্জ্য ও সামুদ্রিক আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি। এ ছাড়া ‘সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট রুলস, ২০২১’ অনুযায়ী এক্সটেন্ডেড প্রোডিউসার রেসপনসিবিলিটি (EPR) গাইডলাইন প্রণয়নের কাজ চলছে, যেখানে উৎপাদকরা নিজেরাই প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেবেন।
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অঞ্চলগুলো বর্তমানে পরিবেশগত সংকটে পড়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এখনই পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে এই সংকট আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
তিনি দেশের সকল নাগরিক, প্রতিষ্ঠান ও নীতিনির্ধারকদের পরিবেশ সুরক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।