প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা জেমস ডিনের ব্যক্তিগত সম্পর্কের গল্প অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে নতুন বায়োপিক ‘উইলি অ্যান্ড জিমি ডিন’। এতে জেমস ডিনের ভূমিকায় অভিনয় করবেন ব্র্যান্ডন ফ্লিন, যিনি ‘১৩ রিজনস হোয়াই’ এবং ‘ট্রু ডিটেকটিভ’-এ অভিনয়ের জন্য পরিচিত।
ছবিটি পরিচালনা করছেন গাই গুইডো এবং চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে উইলিয়াম ব্যাস্ট-এর ২০০৬ সালের আত্মজীবনী ‘Surviving James Dean’ অবলম্বনে। ব্যাস্ট ছিলেন ডিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, রুমমেট এবং তার দাবি অনুযায়ী, প্রেমিক। তাদের সম্পর্ক গোপন রাখার পেছনে ছিল ক্যারিয়ার ক্ষতির আশঙ্কা।
ছবির গল্প গড়ে উঠেছে ১৯৫০ দশকের সমাজে সমকামী পরিচয় মেনে নেওয়ার সংকট, প্রেম এবং আত্মপরিচয়ের ভেতর দিয়ে। শুরু থেকে ডিনের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সময়কালকে কেন্দ্র করে ছবিটি নির্মিত হচ্ছে। ডিন ১৯৫৫ সালে মাত্র ২৪ বছর বয়সে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান।
পরিচালক গুইডো বলেন, “এটি একটি ঐতিহ্যগত বায়োপিক নয়। বরং এটি একটি আবেগময় ও কিছুটা বেদনাদায়ক প্রেমের গল্প। ব্র্যান্ডন ফ্লিনের মধ্যে আছে সেই আগুন এবং ভঙ্গুরতা, যা জেমস ডিন চরিত্রকে প্রাণবন্ত করে তুলবে।”
ফ্লিন বলেন, “জেমস ডিন একজন সাংস্কৃতিক প্রতীক হলেও ব্যক্তি হিসেবে তিনি কে ছিলেন, তা বোঝা যায় না। এই স্ক্রিপ্ট সেই মানুষটিকে খুঁজে পাওয়ার একটা প্রচেষ্টা।”
তিনি আরও যোগ করেন, “হলিউডের ইতিহাসে এলজিবিটিকিউ মানুষদের ব্যক্তিজীবনও পারফর্ম করার মতো করে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই গল্প সেই ভাঙনের প্রতিচ্ছবি।”
ছবিটির প্রযোজনা কাজ এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। গুইডো বর্তমানে সম্ভাব্য প্রযোজকদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। কাস্টিংয়ের দায়িত্বে আছেন বার্ডেন/স্নি কাস্টিং এজেন্সির কেরি বার্ডেন ও পল স্নি। ব্যাস্ট ও তার মা বারনিসের চরিত্রের জন্যও এখন অভিনেতা খোঁজা হচ্ছে।
পরিচালক গুইডো এর আগে হুলুর ডকুমেন্টারি ‘Madonna and the Breakfast Club’ পরিচালনা করেছেন।
এটি শুধু একটি সেলিব্রেটির গল্প নয়, বরং প্রেম, পরিচয় ও সমাজের কাঠামোর মধ্যে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার সংগ্রামও। ছবিটি মুক্তির তারিখ এখনো ঘোষণা হয়নি, তবে ইতোমধ্যে এটি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ বাড়ছে।
