মার্ভেল সিনেমা ‘থান্ডারবল্টস’-এর পরিচালক জেক শ্রেয়ার এবার আলোচনায় এলেন পর্দার বাইরের ভূমিকায়। মাল্টার ঐতিহাসিক ফোর্ট রিকাসোলিতে অনুষ্ঠিত মেডিটেরানে চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়ে তরুণ নির্মাতাদের উদ্দেশে দিলেন অনুপ্রেরণামূলক বার্তা।
৭৫ মিনিটের এই মাস্টারক্লাস সেশনে শ্রেয়ার শেয়ার করেন নিজের ক্যারিয়ারের শুরু, পরবর্তী সংগ্রাম এবং প্রতিষ্ঠার গল্প। শুরু করেছিলেন বিজ্ঞাপন নির্মাণ দিয়ে। তার ভাষায়, “ফিল্ম স্কুলে যখন আমরা বুঝলাম সিনেমা বানানো খুব দূরের পথ, তখন বিজ্ঞাপনকে দেখেছিলাম একটা সম্ভাবনা হিসেবে।”
তবে বিজ্ঞাপন থেকে সরাসরি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে আসা সহজ ছিল না। তবু প্রতিটি বিজ্ঞাপন সেট তাকে শিখিয়েছে কিছু না কিছু। শ্রেয়ার বলেন, “যত ছোট কাজই হোক না কেন, সেটে থাকলে শিখার সুযোগ থাকে সবসময়।”
২০১২ সালে ফ্রাঙ্ক ল্যাঞ্জেলার অভিনীত ‘রোবট অ্যান্ড ফ্রাঙ্ক’ দিয়ে তার পরিচালনায় প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটে। মাত্র দুই সপ্তাহের প্রস্তুতিতে ছবির শুটিং করতে হয়েছিল। কিন্তু আগে বিজ্ঞাপনের জন্য এমন কম সময়েই কাজ করার অভিজ্ঞতা তাকে সাহস জুগিয়েছিল।
সিনেমায় সফলতা পেলেও ক্যারিয়ারে বহুবার ‘না’ বলার সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে আফসোস করেছেন বলে স্বীকার করেন শ্রেয়ার। “খুব বেছে কাজ করতে গিয়েই আমি অনেক সময় শুধু বসে থেকেছি। তাই আমি বলি, যদি মনে হয় এতে কিছু শেখা যাবে, তাহলে সুযোগটা নিতে হবে। প্রথম কাজ নিখুঁত হবে না, কখনও হয়তো কোনো কাজই হবে না। কিন্তু চেষ্টা করতে হবে,” বলেন তিনি।
এই পরামর্শে শ্রেয়ার তরুণদের বলেন, “ঝুঁকি নিতে ভয় পেও না, সুযোগ পেলে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ো।”
চলচ্চিত্রে কাস্টিং প্রসঙ্গে শ্রেয়ার হাস্যরসের সঙ্গে বলেন, “যদি ফ্লোরেন্স পিউকে নিতে পারো, তাহলে নিঃসংকোচে নিয়ে ফেলো।”
শ্রেয়ারের অন্যান্য কাজের মধ্যে আছে ‘বিফ’, ‘মিনক্স’, ‘স্কেলেটন ক্রু’, ‘ডেভ’, ‘কিডিং’ এবং জনপ্রিয় মিউজিক ভিডিও যেমন কেন্ড্রিক লামার, কানিয়ে ওয়েস্ট ও সেলেনা গোমেজের জন্য নির্মিত ভিডিও।
তিনি জানান, যে বড় সুযোগগুলো এসেছে, সেগুলোর আগে ছিল একগুচ্ছ ছোট কিন্তু শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা। কাজ না থাকলে শেখার গতি থেমে যায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শ্রেয়ার বলেন, “ক্যারিয়ারের শুরুতে জানতাম না কীভাবে সিনেমা বানানো যায়। কিন্তু যেকোনো মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে গেছি। এখনো আমি শিখছি। আর সেটা হচ্ছে কাজের মধ্যেই।”
