বাংলাদেশের মুদ্রা টাকার মূল্য দেশীয়ভাবে নির্ধারিত হবে এবং যৌক্তিক কারণ ছাড়া এক পয়সাও অবমূল্যায়ন করা হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে গুগলের ফিনটেক সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
গভর্নর বলেন, ‘‘বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে এ সম্ভাবনা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে। তাই আর্থিক খাতের সব অংশীজনকে একযোগে কাজ করতে হবে।’’
উল্লেখ্য, দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূলত টাকার মান নির্ধারণ করে থাকলেও বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতির ওপরেও তা নির্ভর করে। বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্য স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, অর্থনীতির ভারসাম্য রক্ষা এবং প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালন করে।
ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম প্রসঙ্গে গভর্নর জানান, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ‘ঝুঁকিভিত্তিক তদারকি নীতি’ বাস্তবায়ন শুরু হবে। ইতোমধ্যে ২০টি ব্যাংককে এই নীতির আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘‘মূল দায়িত্ব হলো মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা কমেছে, তবে স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে।’’
রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন গভর্নর। তিনি আরও জানান, আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা আনতে ডিসেম্বরের মধ্যেই কিছু ব্যাংক একীভূত করা হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আমানতকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানান এবং বলেন, ‘‘ব্যাংক একীভূত হলেও আমানতকারীদের কোনো ক্ষতি হবে না। তাঁরা আগের মতই নিজ নিজ শাখায় ব্যাংকিং সেবা নিতে পারবেন।’’
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের এ বক্তব্য দেশের অর্থনৈতিক নীতিতে নতুন গতির ইঙ্গিত দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে মুদ্রানীতিতে স্বচ্ছতা ও ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা আনতে এই পদক্ষেপগুলোকে সময়োপযোগী বলে মত দিচ্ছেন তারা।