সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে মব হিংসা বেড়ে যাওয়ার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সোমবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণ থেকে একটি মিছিল বের করেন। মিছিলটি টি.এস.সি, ভিসি চত্বর হয়ে শেষ হয় রোকেয়া হলে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে।
‘অত্যাচারের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্বে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
লালমনিরহাটে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এক হিন্দু নরসুন্দর ও তার পুত্রকে জনসমক্ষে হেনস্তা এবং পরে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার ঘটনা এই প্রতিবাদের কেন্দ্রবিন্দু ছিল।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শ্লোগানে মব হিংসা বন্ধের দাবি জানান।
ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের নেত্রী অর্নি আনজুম বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দেশব্যাপী মব হিংসার ঘটনা বেড়ে গেছে। গত ২২ জুন লালমনিরহাটে যেটা ঘটেছে, সেটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।”
তিনি জানান, “৫ আগস্ট থেকে বিভিন্ন উগ্র গোষ্ঠী বারবার জনতাকে উসকে দিয়ে আইনবহির্ভূতভাবে নিরপরাধ মানুষদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এদের কোনো জবাবদিহিতা নেই।”
আরেক শিক্ষার্থী রিপন চৌধুরী বলেন, “মব হিংসা নারীদের এবং সংখ্যালঘুদের জন্য একটি স্থায়ী হুমকি হয়ে উঠেছে। ২০২৪ সালের গণআন্দোলনের লক্ষ্য ছিল বৈষম্য দূর করা। তাহলে নিরপরাধ মানুষকে নির্যাতন কি বৈষম্যেরই অন্য রূপ নয়?”
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, “আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করুন। ধর্মীয় উসকানিমূলক মব হিংসা বন্ধে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিন।”
ঢাবি শিক্ষার্থীদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি আরও একবার দেশের যুবসমাজের মধ্যে ধর্মীয় সহিংসতা ও বিচারবহির্ভূত নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতনতার ইঙ্গিত দেয়। সরকার এবং প্রশাসনের কাছ থেকে এখন প্রয়োজন দৃশ্যমান ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ।