দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ওকলা সিটি থান্ডার এনবিএ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো। রোববার রাতে এনবিএ ফাইনালের সপ্তম ম্যাচে ইন্ডিয়ানা পেসার্সকে ১০৩-৯১ পয়েন্টে হারিয়েছে তারা।
থান্ডারের তারকা গার্ড শাই গিলজিয়াস-অ্যালেকজান্ডার একাই করেছেন ২৯ পয়েন্ট ও ১২টি অ্যাসিস্ট, যা ছিল তার প্লে-অফ ক্যারিয়ারের সেরা পারফরম্যান্স।
প্রথমার্ধে যদিও পেসার্স ৪৮-৪৭ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল, তবে তৃতীয় কোয়ার্টারে থান্ডার স্কোর করে ৩৪-২০ এবং চতুর্থ কোয়ার্টারে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় সর্বোচ্চ ২২ পয়েন্ট পর্যন্ত।
গিলজিয়াস-অ্যালেকজান্ডার বলেন, “এটা এখনো অবিশ্বাস্য লাগছে। এত পরিশ্রম, এত আবেগ, এত রাতের জেগে থাকা, এখন এই সাফল্য আমাদের প্রাপ্য ছিল।”
সাধারণ মৌসুমের এমভিপি ও স্কোরিং চ্যাম্পিয়নের পুরস্কার জয়ের পর তিনি ফাইনালের এমভিপিও লাভ করেছেন, যা ২০১২-১৩ সালের পর প্রথমবার কারও পক্ষে সম্ভব হলো। সর্বশেষ লেব্রন জেমস এই কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন।
জালেন উইলিয়ামস করেছেন ২০ পয়েন্ট, যার মধ্যে ১৫টি এসেছে দ্বিতীয়ার্ধে। চেট হোমগ্রেন যুক্ত করেছেন ১৮ পয়েন্ট, ৮টি রিবাউন্ড এবং ৫টি ব্লক শট।
এই জয়ে ২০০৮ সালে সিয়াটল সুপারসনিকস থেকে ওকলা সিটিতে আসার পর প্রথমবার শিরোপা জিতল থান্ডার। সিয়াটল নামে আগের বার তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ১৯৭৯ সালে।
পেসার্সের হয়ে বেঞ্চ থেকে এসে বেনেডিক্ট ম্যাথুরিন করেন ২৪ পয়েন্ট। পাসকাল সিয়াকাম ও টি জে ম্যাককনেল করেছেন ১৬ করে পয়েন্ট। তবে পেসার্সের বড় ধাক্কা আসে শুরুতেই, যখন দলের প্রধান তারকা টাইরিস হ্যালিবার্টন ইনজুরিতে পড়েন মাত্র সাত মিনিটে।
পেসার্স কোচ রিক কার্লাইল বলেন, “টাইরিসের ইনজুরি আমাদের মনোবল নষ্ট করেছিল। তবে ছেলেরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছে। তৃতীয় কোয়ার্টারে আমরা পিছিয়ে পড়লেও শেষ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করিনি।”
এটা এনবিএ ফাইনালের ২০১৬ সালের পর প্রথম সপ্তম ম্যাচ ছিল এবং শেষ পর্যন্ত এক দুর্দান্ত মৌসুমের পর ওকলা সিটি থান্ডার চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরল।