হেডিংলিতে চলমান টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে চতুর্থ দিন শেষে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে দিল রিশাভ পান্ত ও লোকেশ রাহুল। তাদের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ভারতের দেয়া ৩৭১ রানের লক্ষ্য সামনে রেখে ভালো সূচনা করেছে ইংল্যান্ড।
শেষ ইনিংসে ছয় ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ইংল্যান্ড সংগ্রহ করেছে ২১ রান। এখন সিরিজে এগিয়ে যেতে হলে স্বাগতিকদের করতে হবে আরও ৩৫০ রান।
দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৪ রানের পর ১১৮ রানের ইনিংস খেলে টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ইনিংসেই সেঞ্চুরি করা প্রথম ভারতীয় ব্যাটার হয়ে উঠেছেন পান্ত।
রাহুলও দারুণ ব্যাটিং করে করেন ১৩৭ রান। তবে ৩৩৩/৪ থেকে ভারত হঠাৎই ধস নামে এবং দলীয় স্কোর ৩৬৪ রানে থেমে যায়।
ফাস্ট বোলার জশ টাং এক স্পেলে চার বলে তিন উইকেট নিয়ে ভারতের ইনিংস গুটিয়ে দিতে মূল ভূমিকা রাখেন।
এর আগে প্রথম ইনিংসে শতক হাঁকান ভারত অধিনায়ক শুভমান গিল ও যশস্বী জয়সওয়াল। তবে ৪৭১ রানে অলআউট হওয়ার সময় শেষ সাতটি উইকেট মাত্র ৪১ রানে হারায় ভারত।
বিশ্বসেরা টেস্ট বোলার জাসপ্রিত বুমরাহ ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। শেষ ইনিংসেও তিনি ভারতের প্রধান অস্ত্র হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে ইংল্যান্ড অতীতেও এই ধরণের পরিস্থিতি সামলেছে। ২০২২ সালে এজবাস্টনে বুমরাহর নেতৃত্বাধীন ভারতের বিপক্ষে ৩৭৮ রান তাড়া করে জয় পেয়েছিল তারা।
পান্তের পাশাপাশি উইকেটরক্ষক হিসেবে একই টেস্টে দুটি ইনিংসে সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব আছে শুধু অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের, যিনি ২০০১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৪২ ও ১৯৯* করেছিলেন।
চতুর্থ দিন সকালে গিল আউট হলেও এরপর রাহুল ও পান্ত নিজেদের স্টাইলে খেলতে থাকেন।
পান্ত ৮৩ বলে ফিফটি করার পর শোয়েব বশিরকে এক ওভারে দুটি বিশাল ছক্কা মারেন। পরে ১৩০ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন, যেটি তার দুর্ঘটনার পর টেস্টে ফিরে সবচেয়ে বড় সাফল্য।
গাভাস্কার গ্যালারি থেকে উল্লাস করেন এবং পান্তকে আবার স্যালুট দিয়ে উদযাপন করতে বলেন, তবে পান্ত এদিন একটু শান্তভাবে সেঞ্চুরি উদযাপন করেন।
রাহুল খেলেন ধৈর্য্যের ইনিংস, ২০২ বলে সেঞ্চুরি করে শেষ পর্যন্ত আউট হন ব্রাইডন কার্সের বলে।
শেষদিকে টাং তিনটি উইকেট তুলে নেন দ্রুত, এর মধ্যে বুমরাহ হ্যাটট্রিক থেকে বাঁচলেও শেষ বলে বোল্ড হন।
৬ ওভারে ২১/০ তে থাকা ইংল্যান্ডের হাতে এখনো রয়েছে সব উইকেট। ম্যাচের পঞ্চম দিন দারুণ উত্তেজনা অপেক্ষা করছে ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য।
