অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় শুরু হচ্ছে এই সপ্তাহে। ২০১৮ সালের পর এই প্রথম কোনো টেস্ট ম্যাচে স্টিভ স্মিথ ও মার্নাস লাবুশেনকে ছাড়াই মাঠে নামছে তারা। তবে দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার ট্রাভিস হেড জানিয়েছেন, নতুন চেহারার দল হলেও অভিজ্ঞতা ও প্রস্তুতির দিক থেকে তারা আত্মবিশ্বাসী।
লাবুশেন সম্প্রতি ব্যাট হাতে ফর্মে নেই। ফলে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট থেকে। অন্যদিকে স্মিথ আঙুলের চোটে ভুগছেন। তাদের স্থানে সুযোগ পেয়েছেন দুই তরুণ খেলোয়াড় স্যাম কনস্টাস ও জোশ ইংলিস, যাদের টেস্ট অভিজ্ঞতা মাত্র দুটি করে ম্যাচের।
তবে ট্রাভিস হেড বলছেন, “তারা (স্মিথ ও লাবুশেন) এখনো স্কোয়াডে আছে, ফলে প্রস্তুতির অংশটা খুব বেশি আলাদা মনে হচ্ছে না। ম্যাচের দিন হয়তো একটা নতুন চেহারা দেখা যাবে, তবে যারা সুযোগ পেয়েছে, তাদেরও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কিছুটা অভিজ্ঞতা আছে।”
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, ২০১৮ সালের বক্সিং ডে টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের জন্য স্মিথ নিষেধাজ্ঞায় থাকাকালীন সময়েও এমন অবস্থা হয়েছিল। এরপর থেকে লাবুশেন খেলেছেন টানা ৫৩টি টেস্ট এবং স্মিথ ৫১টি।
আগামী বুধবার বার্বাডোজে শুরু হতে যাচ্ছে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটি। ধারণা করা হচ্ছে, কনস্টাস ওপেন করবেন উসমান খাজার সঙ্গে, যেখানে লাবুশেন সম্প্রতি খেলেছিলেন ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে। অন্যদিকে, ইংলিস ব্যাটিং অর্ডারে তিন থেকে ছয় যেকোনো স্থানে খেলতে পারেন।
হেড আরও বলেন, “আমরা পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিকল্পনা করব। দলে অভিজ্ঞতা ও পরিপক্বতা আছে। কেউ কেউ হয়তো প্রথম একাদশে নতুন, কিন্তু পুরো দলটাই প্রস্তুত যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে।”
টেস্ট সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হবে পরবর্তী দুই সপ্তাহে। তরুণদের সুযোগ দেওয়ার এই পদক্ষেপ কতটা কার্যকর হয়, তা বোঝা যাবে সিরিজ শুরুর পরই।