ডেইলি প্রতিদিনের বাণী রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২৫, ০০:২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক — রাজধানী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল করে তুলতে সরকার ও ঢাবি প্রশাসন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বুধবার (১৪ মে) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, “সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে এক আতঙ্কের স্থান থেকে ধীরে ধীরে একটি নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক স্থানে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”
গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তসমূহ
- রাজু ভাস্কর্যের পেছনের গেটটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে
- উদ্যানে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ও মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হবে
- গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে নিয়মিত মনিটরিং চালানো হবে
- আলোকসজ্জা ও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং মনিটরিং নিশ্চিত করা হবে
- একটি ডেডিকেটেড পুলিশ বক্স স্থাপন করা হবে
- রমনা পার্কের আদলে সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা চালু করা হবে
- রাত ৮টার পর উদ্যানে জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে
- সরকার আশা করছে, এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা থাকবে।
তদন্ত কমিটি গঠন
এদিকে, ঢাবি শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমানকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটিকে আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
- ঢাবি ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার প্রতিবাদে ঢামেক থেকে বিক্ষোভ মিছিল
- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে নিহত ঢাবির ছাত্র, হামলাকারীরা পলাতক
- ঢাবি ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যায় বিচারের দাবি রাকিবের
কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ইকরামুল হক, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমান, মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম, এবং ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম সরকার।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় দ্রুততম সময়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা শহরের অন্যতম ঐতিহাসিক স্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিরাপত্তা জোরদার এবং অপরাধ প্রতিরোধে এই পদক্ষেপ শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে আনবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।