বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টকে সামনে রেখে দলে দুটি পরিবর্তন এনেছে শ্রীলঙ্কা। ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন পেসার মিলান রত্নায়েকে, তার জায়গায় দলে এসেছেন বাঁহাতি পেসার বিশ্ব ফার্নান্দো। এছাড়া টেস্ট ক্রিকেট থেকে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের অবসরের পর স্কোয়াডে যুক্ত হয়েছেন ২২ বছর বয়সী দুনিথ ওয়েলালাগে।
কলম্বোর এসএসসিতে ২৫ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া এই টেস্টের আগে স্বাগতিকদের জন্য মিলানের ছিটকে যাওয়া একটি বড় ধাক্কা। গলে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে তিনি বেশ প্রভাব ফেলেছিলেন। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন সকালে অস্বস্তির কারণে কিছুক্ষণের জন্য মাঠ ছাড়লেও পরে ফিরে এসে ম্যাচে মোট চারটি উইকেট নেন তিনি। এছাড়া কামিন্দু মেন্ডিসের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে ৮৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটিতে তার ৩৯ রানের ইনিংসটি শ্রীলঙ্কাকে ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ নিতে সাহায্য করেছিল।
দলের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের অবসরের কারণে। তার জায়গায় সরাসরি কোনো সিম বোলিং অলরাউন্ডার না থাকায় নির্বাচকদের কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সাধারণত গলের চেয়ে এসএসসির পিচ কম স্পিন সহায়ক হয়ে থাকে। তাই স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার ওয়েলালাগে বা সোনাল দিনুশার পরিবর্তে শ্রীলঙ্কা একজন অতিরিক্ত পেসার খেলাতে পারে। সেক্ষেত্রে একাদশ থেকে বাদ পড়তে পারেন থারিন্দু রত্নায়েকে।
আরও পড়ুন: সৌম্যকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নয়, শ্রীলঙ্কা সিরিজে নেই এই অলরাউন্ডার
পরিবর্তনের পর শ্রীলঙ্কার পেস বোলিং ইউনিটে এখন আছেন বিশ্ব ফার্নান্দো, আসিথা ফার্নান্দো, কাসুন রাজিথা এবং এখনো অভিষেক না হওয়া ইসিথা উইজেসুন্দরা।
একাদশে ম্যাথিউসের জায়গায় ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পারফর্ম করা পাসিন্দু সুরিয়াবান্দারা এবং পাওয়ান রত্নায়েকের মধ্যে প্রতিযোগিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের হয়ে নজর কাড়া ওশাদা ফার্নান্দোও বিবেচনায় আছেন।
উল্লেখ্য, এই টেস্টের পর ২০২৬ সালের আগে শ্রীলঙ্কার আর কোনো লাল বলের ম্যাচ খেলার সূচি নেই।
দ্বিতীয় টেস্টের জন্য শ্রীলঙ্কার স্কোয়াড:
ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (অধিনায়ক), পাথুম নিশাঙ্কা, ওশাদা ফার্নান্দো, লাহিরু উদারা, দিনেশ চান্দিমাল, কামিন্দু মেন্ডিস, কুশল মেন্ডিস, দুনিথ ওয়েলালাগে, পাসিন্দু সুরিয়াবান্দারা, সোনাল দিনুশা, পাওয়ান রত্নায়েকে, প্রবাথ জয়াসুরিয়া, থারিন্দু রত্নায়েকে, আকিলা ধনঞ্জয়া, বিশ্ব ফার্নান্দো, আসিথা ফার্নান্দো, কাসুন রাজিথা, ইসিথা উইজেসুন্দরা।