ডেইলি প্রতিদিনের বাণী রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২৫, ১৪:১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক — রাজধানী
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “হাসিনার ভয়ে যারা গর্তে লুকিয়ে ছিলেন, তারাই এখন সংস্কারের তালিম দিচ্ছেন। ১৭ বছর তাদের কাউকে রাস্তায় দেখা যায়নি। শেখ হাসিনা পালানোর পরবর্তী বাংলাদেশ কেমন হবে, সেটি মাথায় রেখেই বিএনপি ৩১ দফা দিয়েছে। তার আগে আমরা ২৭ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি, আর তারও আগে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া দিয়েছিলেন ভিশন-২০৩০।”
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যাওয়ার জন্য যে ভিত্তি তৈরি হওয়া দরকার, তা হচ্ছে না। কোনো ধরনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছাড়া সংস্কার অসম্ভব। ডা. জাফরুল্লাহ স্বাস্থ্যখাতে মৌলিক পরিবর্তন এনেছেন, অথচ তাঁকে এখন কেউ স্মরণ করছে না।”
আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একটি অনির্বাচিত সরকার মানবিক করিডরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। “এই সিদ্ধান্তে জনমতের কোনো প্রতিফলন নেই। নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত বিনিয়োগ আসবে না।”
আলোচনায় অংশ নিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “সরকারের সংস্কার দাবি শোনা গেলেও বাস্তবে কিছুই হয়নি। প্রশাসন ও পুলিশে পুরনো ধান্দাবাজরা রয়ে গেছে।”
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের বিষয়টি সরকার জানত না—এমন বক্তব্যকে ‘অবিশ্বাস্য’ বলেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “সরকার গঠনের ৯ মাস পরেও তাদের দিক নির্ধারণ স্পষ্ট নয়।”
সভাপতিত্ব করেন ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু। উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধ্যাপক মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার।