Sunday, June 22, 2025
Homeরাজনীতিজাতীয় নির্বাচন ঘিরে জোর প্রস্তুতিতে নির্বাচন কমিশন, লন্ডনে ইউনুস-তারেক বৈঠকের পর গতি...

জাতীয় নির্বাচন ঘিরে জোর প্রস্তুতিতে নির্বাচন কমিশন, লন্ডনে ইউনুস-তারেক বৈঠকের পর গতি বেড়েছে

ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আসন পুনর্নির্ধারণ, নতুন দল নিবন্ধন ও আইন সংশোধনে জোর দিয়েছে ইসি

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সবদিক থেকে প্রস্তুতি জোরদার করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের পর থেকে ইসির তৎপরতা আরও বেড়েছে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আসন পুনর্নির্ধারণ, সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র মেরামত, নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন ও বিভিন্ন আইন-নীতি সংশোধনের কাজ পুরোদমে চলছে।

রবিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “ভোট কবে হবে সেটা বড় কথা না, আমাদের প্রস্তুতি ঠিক রাখতে হবে। এজন্য সবাইকে নিরপেক্ষভাবে আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে হবে।”

গত ১৩ জুন লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকে অধ্যাপক ইউনুস জানান, নির্বাচন ২০২৬ সালের রমজান শুরুর আগেই অনুষ্ঠিত হতে পারে। সব প্রস্তুতি শেষ থাকলে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই ভোট নেওয়া সম্ভব।

সিইসি বলেন, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে মাঠপর্যায়ে সম্ভাব্য ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ সম্পন্ন হবে। এছাড়া ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে ১৮ বছর পূর্ণ হবে এমন যুবাদের ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে আইনি পরিবর্তনের চিন্তা করা হচ্ছে।

আসন পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত খসড়া চূড়ান্ত করার কাজও চলছে। ইতিমধ্যে ৭৫টি আসনে পরিবর্তনের আবেদন পড়েছে, যার ৯০ শতাংশই ২০০১ সালের সীমা পুনর্বহালের দাবি। তবে কমিশন বলেছে, শুধু যথাযথ যৌক্তিক আবেদনই বিবেচনা করা হবে।

নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য ৬৫টি দল আবেদন করেছে। নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করতে ২২ জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। নিবন্ধিত হলে দলগুলো নিজস্ব প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে।

নির্বাচন সংক্রান্ত পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা অনুমোদন দিলেও এখনও তা প্রকাশ করা হয়নি। রাজনৈতিক দলের আচরণবিধির খসড়া পর্যালোচনা করে ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

প্রেসাইডিং অফিসারদের ভোটগ্রহণ বন্ধের ক্ষমতা পুনঃস্থাপনসহ রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে আইন সংশোধনের প্রস্তুতি চলছে।

সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রগুলো মেরামত ও সংস্কারের অগ্রগতি জানতে সংশ্লিষ্ট ছয়টি মন্ত্রণালয় ও সংস্থাকে ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং এলজিইডি ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর।

২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রায় ৩৮ হাজার ভোটকেন্দ্র, ২০১৮ সালে ৪০ হাজার এবং ২০২৪ সালে ৪৪ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্র ছিল।

ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ জানিয়েছেন, ভোটার তালিকা, আইন সংশোধনসহ সব প্রস্তুতি কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করার জন্য কমিশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

সব মিলিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সার্বিক প্রস্তুতিতে গতি এনেছে নির্বাচন কমিশন, যাতে সময়মতো ভোটগ্রহণ সম্ভব হয়।

RELATED NEWS

Latest News