বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ—এমনটাই জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান।
সোমবার ঢাকার সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে জাতিসংঘের নিখোঁজ সংক্রান্ত ওয়ার্কিং গ্রুপ (WGEID) এর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির ভাইস-চেয়ারপারসন গ্রাজিনা বারানোস্কা।
বৈঠকে বারানোস্কা বিভিন্ন সংস্থায় প্রেষণে থাকা কিছু সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে অতীতের অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এসব সংস্থার মধ্যে রয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
উত্তরে সেনাপ্রধান জানান, সেনা সদস্যরা যখন অন্য সংস্থায় প্রেষণে যান, তখন তারা সম্পূর্ণরূপে সেই সংস্থার নিয়ন্ত্রণ ও প্রশাসনিক কাঠামোর অধীনে কাজ করেন।
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময় ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেছে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থাগুলোর সঙ্গে গঠনমূলক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।”
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই বৈঠক সৌজন্য সাক্ষাতের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হলেও এতে মানবাধিকার ইস্যুতে স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ও স্বচ্ছ বার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশ তার অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে পারে।
