ভারতের আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার তিন দিন পর উদ্ধারকারীরা দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স খুঁজে পেয়েছে। লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ বিমানটি বৃহস্পতিবার আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হলে এতে কমপক্ষে ২৭৯ জন প্রাণ হারান। যাত্রী ও ক্রুসহ মোট ২৪২ জন আরোহীর মধ্যে মাত্র একজন জীবিত উদ্ধার হন। দুর্ঘটনায় মাটিতে থাকা আরও অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (১৫ জুন) প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পিকে মিশ্র এক বিবৃতিতে জানান, দুর্ঘটনাস্থল থেকে ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (CVR) উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (FDR) উদ্ধার করা হয়েছিল।
মিশ্র বলেন, “এয়ার অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB) এ ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে। যেহেতু উড়োজাহাজটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি, তাই আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুযায়ী ইউএস ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (NTSB)–ও সমান্তরাল তদন্ত চালাচ্ছে।”
দুইটি ব্ল্যাক বক্সই এখন কর্তৃপক্ষের হেফাজতে রয়েছে এবং তদন্ত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিশ্লেষণ শুরু করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই ঘটনায় বিমানটি ঠিক কী কারণে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হলো, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, ব্ল্যাক বক্স বিশ্লেষণের পর মূল কারণ জানা যাবে।
উল্লেখ্য, দুর্ঘটনার সময় বোয়িং ৭৮৭ উড়োজাহাজটি গুজরাটের আহমেদাবাদ শহর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করছিল। উড্ডয়নের পর কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আবাসিক এলাকার ওপর ভেঙে পড়ে। ফলে শুধুমাত্র বিমানে থাকা আরোহীরাই নন, আশপাশের বাসিন্দারাও নিহত হন।
ভারতের ইতিহাসে এটিকে সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ঘটনায় দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল ব্যবস্থার ওপর নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
তদন্তের অগ্রগতি এবং উদ্ধার হওয়া ব্ল্যাক বক্সগুলোর বিশ্লেষণ থেকেই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে আশাবাদী তদন্ত কর্মকর্তারা।