ডেইলি প্রতিদিনের বাণী রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২৫, ০৯:১২
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে তিন যুবককে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় তিন দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন রায়হান শেখ।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের থানমাত্তা গ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল দুই জনে। শনিবার রাতে তিন যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। এদের মধ্যে ইয়াছিন খালাসীর মৃত্যুর তিন দিন পর মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রায়হান শেখ (২৪)।
রায়হান থানমাত্তা গ্রামের ফখরুদ্দিন শেখের ছেলে। এর আগে নিহত ইয়াছিন ছিলেন একই এলাকার বাসিন্দা এবং জাহাঙ্গীর খালাসীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের পুরোনো বিরোধের জেরে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইয়াছিন খালাসীর বাবা জাহাঙ্গীর খালাসী ভাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো. ইসমাইল বেপারীকে সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর শিরোইল বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১০।
র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হামলায় ইয়াছিনকে কুপিয়ে নাড়িভুঁড়ি বের করে দেয় দুর্বৃত্তরা। আহতদের ঢাকায় নেওয়ার পথে ইয়াছিনের মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, থানমাত্তা গ্রামে ভুলু খন্দকার ও বাদশা শরীফ নামের দুই ব্যক্তির নেতৃত্বে দুটি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। হামলার সময় নিহত ও আহত তিন যুবক ব্রিজের পাশে বসে কথা বলছিলেন। হঠাৎ ৭–৮ জন তরুণ তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এ সময় শাকিব মাতুব্বর (১৬) নামে আরেক তরুণও গুরুতর আহত হন।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।