ডেইলি প্রতিদিনের বাণী রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২৫, ০৮:১১
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই দেশটির সেনাবাহিনী ‘পূর্ণশক্তি নিয়ে’ গাজায় অভিযান শুরু করবে। সোমবার রাতে আহত রিজার্ভ সেনাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।
নেতানিয়াহু বলেন, “শিগগিরই আমরা পূর্ণশক্তি নিয়ে অভিযানে নামব। এই অভিযান সম্পন্ন করা মানে হামাসকে পরাজিত করা, অর্থাৎ হামাসকে ধ্বংস করা।” তিনি আরও বলেন, “যুদ্ধ থামানোর কোনো পরিস্থিতি হবে না। সাময়িক যুদ্ধবিরতি হতে পারে, কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত যাব।”
এর আগে ১৯ জানুয়ারি হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল ফের গাজাজুড়ে বড় পরিসরে সামরিক অভিযান শুরু করে। চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েল সরকার অভিযান সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেয় এবং গাজায় দীর্ঘমেয়াদি সামরিক উপস্থিতির পরিকল্পনার কথা জানায়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ভাষ্যমতে, নতুন অভিযান গাজার অধিকাংশ বাসিন্দাকে পুনরায় বাস্তুচ্যুত করতে পারে। ইতিমধ্যে গাজার প্রায় ২৪ লাখ মানুষের বেশিরভাগই অন্তত একবার তাদের বাসস্থান ছেড়েছেন। ইসরায়েলও গাজাবাসীদের অন্যত্র যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে।
নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা এমন একটি প্রশাসন গড়েছি, যা গাজার বাসিন্দাদের চলে যেতে সহায়তা করবে। এখন আমরা এমন দেশ খুঁজছি যারা তাদের গ্রহণ করতে পারে। আমার ধারণা, সঠিক বিকল্প পেলে ৫০ শতাংশেরও বেশি ফিলিস্তিনি গাজা ছাড়তে রাজি হবেন।”
ইসরায়েলি মন্ত্রীরা মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক প্রস্তাবকে সামনে এনেছেন, যেখানে গাজাবাসীকে জর্দান বা মিসরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তবে মিসর, জর্দানসহ অন্যান্য আরব দেশ ও ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের এক হামলায় ইসরায়েলে ১,২১৮ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, এখনো গাজায় ৫৭ জন জিম্মি রয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩৪ জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।
এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজায় কমপক্ষে ৫২ হাজার ৯০৮ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জাতিসংঘ এ তথ্যকে “বিশ্বাসযোগ্য” হিসেবে উল্লেখ করেছে।