Saturday, July 19, 2025
Homeজাতীয়রোজার আগেই জাতীয় নির্বাচন হতে পারে, লন্ডন বৈঠকের পর নতুন ইঙ্গিত

রোজার আগেই জাতীয় নির্বাচন হতে পারে, লন্ডন বৈঠকের পর নতুন ইঙ্গিত

বিচার ও সংস্কার চলমান রেখেই নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন

লন্ডনে ডক্টর ইউনুস এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক থেকে দেশের সামনে নতুন বার্তা এসেছে। বৈঠকের সূত্র ধরে জানা গেছে, আসন্ন রোজার আগেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

বৈঠকটির দিকে নজর ছিল দেশের সকল মহলের। জাতীয় নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে এ পর্যন্ত স্পষ্ট কোনও ঘোষণা আসেনি। এই বৈঠকের পর প্রথমবারের মতো নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে কিছুটা পরিষ্কার ধারণা পাওয়া গেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিচার ও সংস্কার প্রক্রিয়া চলমান রেখেই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। বর্তমান নির্বাচন কমিশনও এর প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন তারা।

এক বিশ্লেষক বলেন, “নির্বাচন কমিশন বহু আগ থেকেই ডিসেম্বর মাসকে মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই প্রস্তুতির ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব।”

আরও পড়ুন: রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন, সম্ভাব্য তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি

এদিকে সাধারণ মানুষের মধ্যে এই খবর মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। এক নাগরিকের মন্তব্য, “আমরা চাই সংস্কারের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। আগে দেশের সংস্কার হওয়া দরকার। তারপর আমরা নির্বাচন চাই।”

আরও এক ব্যক্তি বলেন, “যদি এপ্রিলে রোজার সময় পড়ে যায় বা আগ-পরে হয়ে যায়, তখন রাষ্ট্রীয় ও সংবিধানের প্রয়োজনে নির্বাচন এগিয়ে আনা হলে তাতে কোনও সমস্যা হবে না।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিচার এবং রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কার নির্বাচনের পরেও চলতে পারে। এতে নির্বাচন পরিচালনা বা আইনি প্রক্রিয়ায় কোনও জটিলতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

আরও পড়ুন: লন্ডন বৈঠকের সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক দলগুলোর মিশ্র প্রতিক্রিয়া

“এত বড় ধরনের বিচার বা সংস্কার সম্পন্ন করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। নির্বাচনের আগে যতটুকু সম্ভব হবে, বাকিটা নির্বাচনের পরবর্তী সরকার চালিয়ে নেবে,” বলেন এক বিশ্লেষক।

এছাড়া, দেশের রাজনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রেও দলগুলোকে মাথায় রাখতে হবে যে অতীতে এই দেশে জুলাই মাসে অভ্যুত্থান হয়েছে। তাই নির্বাচন ও সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আরও বেশি ঐক্য ও গণমতের ভিত্তিতে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বর্তমানে রাজনৈতিক পরিবেশ ও প্রশাসনিক প্রস্তুতির দিক বিবেচনা করে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ রমজান শুরুর আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে বলে মত বিশ্লেষকদের। এখন দেখার বিষয়, এই লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলো কতটা দ্রুত এবং যৌথভাবে কাজ এগিয়ে নিতে পারে।

RELATED NEWS

Latest News