ভারতে করোনা ভাইরাসে একদিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ৩০৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে ৭ হাজার ১২১ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ছয়টি মৃত্যুর মধ্যে তিনটি ঘটেছে কেরালায়, দুটি কর্নাটকে এবং একটি মহারাষ্ট্রে।
মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৪৩ বছর বয়সী এক পুরুষ ছিলেন, যার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল ছিল। বাকিরা বয়স্ক এবং আগে থেকেই শ্বাসতন্ত্র ও দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছিলেন বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ার বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
তবে এই মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠলেও তা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
ভারতে বর্তমানে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়ছে। এর পেছনে নতুন কয়েকটি ভ্যারিয়েন্টকে দায়ী করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে এলএফ.৭, এক্সএফজি, জেএন.১ এবং সম্প্রতি শনাক্ত হওয়া এনবি.১.৮.১ সাবভ্যারিয়েন্ট।
এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পুরো জনগোষ্ঠীর জন্য নতুন করে টিকা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখছেন না। বরং বয়স্ক, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা ব্যক্তি এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের জন্য লক্ষ্যভিত্তিক বুস্টার ডোজ কার্যক্রম চালানোর পক্ষে মত দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আগের সংক্রমণ এবং ব্যাপক টিকা দেওয়ার ফলে অনেকের মধ্যেই হাইব্রিড ইমিউনিটি গড়ে উঠেছে। ফলে সাধারণ জনগণের জন্য অতিরিক্ত টিকা এখনই প্রয়োজন নেই।
ভারতীয় চিকিৎসক সমিতি আবারও সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ দিয়েছে তারা।
ভারতে নতুন করে করোনার প্রকোপ শুরু হলেও পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। তবে নতুন ভ্যারিয়েন্টের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।