লন্ডনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করেছেন এয়ারবাসের নির্বাহী সহ-সভাপতি ওয়াউটার ভ্যান ভার্স এবং মেনজিস এভিয়েশনের নির্বাহী সহ-সভাপতি চার্লস উইলি। মঙ্গলবার এই বৈঠক দুটি অনুষ্ঠিত হয় প্রফেসর ইউনূসের লন্ডনের আবাসস্থলে।
বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি) কে জানান, আলোচনায় পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে।
এর আগে দিনের পরবর্তী সময়ে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ এবং কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গেও প্রফেসর ইউনূসের আলাদা বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
চারদিনের সরকারি সফরে মঙ্গলবার সকালে লন্ডনে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা। এই সফরের মূল লক্ষ্য হচ্ছে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করা। বিশেষ করে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে নতুন মাত্রা যোগ করাই এ সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য।
এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে প্রফেসর ইউনূস এবং তার ছোট্ট প্রতিনিধিদল স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান। তাকে স্বাগত জানান যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম।
এ সফরের গুরুত্ব সম্পর্কে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘‘এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সফর। প্রফেসর ইউনূস এই সফরে ব্রিটেনের রাজা চার্লস তৃতীয় এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠক করবেন।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর এবং বহুমাত্রিক। এই সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’’
সফরের অংশ হিসেবে আগামী ১২ জুন লন্ডনের সেন্ট জেমস প্যালেসে এক আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে রাজা চার্লস তৃতীয় প্রফেসর ইউনূসকে ‘হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ প্রদান করবেন। শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং পরিবেশবান্ধব সামঞ্জস্য রক্ষায় আজীবন অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এই পুরস্কার প্রদান করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন এই পুরস্কার পেয়েছিলেন।