নেটফ্লিক্সের আলোচিত ডার্ক ডিটেকটিভ থ্রিলার ডিপার্টমেন্ট কিউ এর প্রথম সিজন শেষ হলো বহু প্রতীক্ষিত চূড়ান্ত পর্বের মাধ্যমে। রহস্যময় এই ক্রাইম ড্রামার মূল চরিত্র গোয়েন্দা কার্ল মর্ক (ম্যাথিউ গুড) একটি জটিল নিখোঁজের মামলার তদন্ত করেন।
১০ বইয়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি ডেনিশ লেখক ইউসি অ্যাডলার-অলসেনের এই সিরিজের শেষ পর্বে নিখোঁজ আইনজীবী মেরিট লিংগার্ডের ভাগ্য যেমন উন্মোচিত হয়েছে, তেমনি আরও কিছু নতুন রহস্যও সামনে এসেছে।
শেষ পর্বের শুরুতেই দেখা যায় যে, মেরিট তার অপহরণকারীদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। অতীতের এক ফ্ল্যাশব্যাক থেকে জানা যায়, স্কুলবন্ধু হ্যারি জেনিংসের সঙ্গে মিলে মা’য়ের গহনা চুরি করতে গিয়ে মেরিটের ভাই উইলিয়াম মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিল। বর্তমান সময়ে জানা যায়, হ্যারির মা আইলসা জেনিংস এবং তার ছোট ভাই লাইল মিলে মেরিটকে অপহরণ করে।
এদিকে গোয়েন্দারা জানতে পারে যে, লাইলই ছদ্মবেশ নিয়ে সাংবাদিক স্যাম হেইগ হিসেবে মেরিটের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। একই সঙ্গে জানা যায়, হ্যারি নয় বরং লাইলই ছিল মেরিটের ভাইয়ের আঘাতের মূল কারণ।
গুরুত্বপূর্ণ মোড় আসে যখন লাইল এক স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এরপর সে মেরিটকে ধীরে ধীরে হত্যা করার চেষ্টা চালায় হাইপারবারিক চেম্বারের চাপ পরিবর্তনের মাধ্যমে।
এ সময় গোয়েন্দা কার্ল ও আকরাম একযোগে উদ্ধার অভিযানে নামে। গুলি খাওয়া অবস্থাতেও কার্ল বেঁচে থাকে, আর আকরাম সাহসিকতার সঙ্গে লাইলকে প্রতিহত করে। শেষ পর্যন্ত মেরিটকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
চূড়ান্ত দৃশ্যে দেখা যায়, মেরিট হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে আসার পর কার্লের বসকে ধন্যবাদ জানায়। কার্ল নিজে কিছুটা ছুটিতে গেলেও আকরামকে পুলিশ গোয়েন্দা পদে নিয়োগ দিতে সরকারের কাছে সুপারিশ করেন।
শেষ দৃশ্যে কার্ল আবারও পুরোনো অপরাধের ফাইল নিয়ে কাজ শুরু করেন এবং তার টিমের সঙ্গে পুনরায় যোগ দেন। মেরিট যখন ডিপার্টমেন্ট কিউ-এর অফিসে আসে, তখন কার্লের সঙ্গে তার অল্পের জন্য দেখা হয়নি। এর ফলে দর্শকদের মধ্যে নতুন কৌতূহলের জন্ম নেয়, ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছে এই চরিত্রগুলোর জন্য।
