নিউইয়র্কের ট্রাইবেকা ফেস্টিভালে র্যাপার লজিক পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র প্যারাডাইস রেকর্ডস দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ব্যর্থ একটি রেকর্ড দোকান এবং সেখানে ঘুরপাক খাওয়া একদল অদ্ভুত চরিত্রকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই হাস্যরসাত্মক গল্পে নতুন মোড় এনেছেন জনপ্রিয় চরিত্র জে ও সাইলেন্ট বব।
ফিল্মটি নির্মিত হয়েছে বাস্তবতার সঙ্গে হালকা হাস্যরসের মিশেলে। লজিক নিজেই এই ছবির পরিচালক ও মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র কুপার (লজিক) একদমই প্রচলিত অর্থে “কুল” নয়। বরং এক সরলমনা, প্রায় অপেশাদার দোকানদার হিসেবে তাকে দেখা যায়, যে প্রায় বিনামূল্যেই গ্রাহকদের রেকর্ড দিয়ে দেন। তার দোকান প্যারাডাইস রেকর্ডস যেন সময়ের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা এক পৃথিবী।
এই দোকানে কাজ করে তার কাজিন টি-ম্যান (ট্রেমেইন হাডসন), লর্ড অফ দ্য রিংস-এর ভক্ত টেবলস (রিড নর্থ্রপ) এবং প্রায় মাতৃসুলভ মেলানি (মেরি এলিজাবেথ কেলি)। লজিকের লেখা এবং পরিচালিত এই ছবিটি কেভিন স্মিথের ক্লার্কস এবং ১২ অ্যাংরি মেন সিনেমার প্রতি স্পষ্ট শ্রদ্ধা নিবেদন।
গল্পে এক পর্যায়ে দোকানে আশ্রয় নেয় একদল ব্যাংক ডাকাত, আর সেখানে ঘটতে থাকে নানা হাস্যকর পরিস্থিতি। ছবির উল্লেখযোগ্য অংশে উপস্থিত হয়ে চমক দেন জে ও সাইলেন্ট বব। তাদের এই উপস্থিতি ছবিতে অনন্য মাত্রা যোগ করেছে। এছাড়াও, ছবিতে দেখা যায় ব্যাংক ডাকাতির জটিলতা এবং কুপারের ব্যক্তিগত সংগ্রামের দিক।
প্যারাডাইস রেকর্ডস ছবিতে র্যাপার লজিকের নিজস্ব সংগীত থাকলেও ছবিটি মূলত হিপ-হপ কমেডি হিসেবে চিহ্নিত হয়নি। বরং এটি একধরনের অরাজক কিন্তু হৃদয়স্পর্শী কমেডি, যেখানে জীবনযাত্রার বাস্তবতা, বন্ধুত্ব এবং অপ্রত্যাশিত ঘটনার সংমিশ্রণ রয়েছে।
দর্শকদের হাসির খোরাক দিতে ছবিতে আরও রয়েছেন টনি রেভোলরি (স্লেইড্রো চরিত্রে), ডমিনিক সেসা, সাইমন রেক্স এবং এক অনবদ্য অতিথি চরিত্রে জোসেফ গর্ডন-লেভিট।
অবশ্য সব রসিকতা একেবারে নিখুঁতভাবে কাজ করেনি, তবে ছবির অরাজক মজার আবহ দর্শকদের ভালোলাগার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিচালক হিসেবে লজিকের এই প্রথম প্রচেষ্টা কিছুটা অসম্পূর্ণ হলেও এতে প্রাণ রয়েছে।
প্যারাডাইস রেকর্ডস ১ ঘণ্টা ৪৬ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই চলচ্চিত্রটি ট্রাইবেকা ফেস্টিভালের স্পটলাইট ন্যারেটিভ বিভাগে প্রদর্শিত হয়েছে।