Saturday, June 28, 2025
Homeবিনোদনশোক ও ক্ষতির সঙ্গে লড়াইয়ে ‘দ্য হন্টিং অব হিল হাউস’ কীভাবে সাহায্য...

শোক ও ক্ষতির সঙ্গে লড়াইয়ে ‘দ্য হন্টিং অব হিল হাউস’ কীভাবে সাহায্য করেছে, জানালেন মাইক ফ্লানাগান

নিজের নতুন সিনেমার প্রদর্শনীতে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন জনপ্রিয় হরর নির্মাতা

জনপ্রিয় হরর নির্মাতা মাইক ফ্লানাগান জানিয়েছেন, ‘দ্য হন্টিং অব হিল হাউস’ সিরিজ তৈরির মাধ্যমে তিনি ব্যক্তিগত শোক ও ক্ষতির সঙ্গে লড়াই করতে পেরেছেন।

লন্ডনে অনুষ্ঠিত এসএক্সএসডব্লিউ ফেস্টিভ্যালের সমাপনী দিনে নিজের নতুন সিনেমা ‘দ্য লাইফ অব চক’-এর প্রদর্শনী পূর্বে এক আলোচনায় এ কথা বলেন ফ্লানাগান।

তিনি জানান, নেটফ্লিক্স সিরিজ ‘দ্য হন্টিং অব হিল হাউস’ তৈরির পেছনে ছিল তার পরিবারের একজন সদস্যের আত্মহত্যার ঘটনায় শোক কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা। সিরিজে নেল ক্রেন চরিত্রের আত্মহত্যার দৃশ্য আংশিকভাবে তার সেই অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত।

ফ্লানাগান বলেন, “সেই সময়ের কিছু স্বপ্ন এবং দুঃস্বপ্নের দৃশ্য আমি সিরিজে তুলে ধরেছি। এটি আমার জন্য শোক মোকাবিলার একটি প্রচেষ্টা ছিল। এই শোক আমি সারাজীবন বয়ে নিয়ে চলবো। তবে এই অনুভূতিগুলো সৃজনশীল মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারাটা আমার জন্য অনেকটা থেরাপির মতো কাজ করেছে। আশা করি, যাঁরা একই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের জন্যও এটি কিছুটা সহায়ক হবে।”

‘ডক্টর স্লিপ’ এবং ‘মিডনাইট ম্যাস’-এর মতো অন্যান্য প্রকল্পও তার মদ্যপানের বিরুদ্ধে সংগ্রামে সাহায্য করেছে বলে জানান ফ্লানাগান। ‘ডক্টর স্লিপ’-এর কাজের সময় তিনি sobriety অর্জন করেন।

‘দ্য হন্টিং অব হিল হাউস’ সিরিজটি ১৯৫৯ সালে প্রকাশিত শার্লি জ্যাকসনের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি। বহু দর্শকই মনে করেন, শোক এবং আত্মহত্যার থিম এই সিরিজের কেন্দ্রে রয়েছে।

ফ্লানাগান আরও বলেন, হরর ঘরানার প্রতি এখনও অনেকের মধ্যে এক ধরনের “পূর্বধারণা” বা “বৈষম্য” রয়েছে। যখন কোনো পুরস্কারজয়ী কাজ আসে, তখনই কেবল এই ঘরানাটি কিছুটা স্বীকৃতি পায়। উদাহরণ হিসেবে তিনি জর্ডান পিলের অস্কারজয়ী কাজের কথা উল্লেখ করেন।

তার ভাষায়, “অনেকেই অবাক হন যে হরর ঘরানায়ও ভালো গল্প বলা যায়। তবে এটা তো সব সময়ই হয়ে এসেছে। হরর সব সময়ই জনপ্রিয় ছিল, কিন্তু বারবার এই ঘরানার প্রতি নতুন করে বিস্মিত হতে দেখা যায়।”

স্টিফেন কিংয়ের কাজের বহু অভিযোজন করেছেন ফ্লানাগান। তিনি বর্তমানে কিংয়ের ‘ডার্ক টাওয়ার’ সিরিজের একটি বহু প্রতীক্ষিত অভিযোজন নিয়ে কাজ করছেন।

এ প্রসঙ্গে ফ্লানাগান বলেন, “স্টিফেন কিং আসলে হরর লেখক নন। তিনি একজন মানবিক ও দয়ালু মানুষ, যার গল্পগুলো মানুষের প্রকৃতি নিয়ে। হরর উপাদানগুলো চরিত্রগুলোর মধ্য থেকে স্বাভাবিকভাবেই আসে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমার কুড়ির দশকে গিয়ে বুঝতে পেরেছি, ‘ইট’ গল্পটি কেবল রূপ বদলানো এক ক্লাউনের গল্প নয়, বরং এটি বন্ধুত্ব ও শৈশব নিয়ে।”

মনোলগের গুরুত্ব নিয়েও ফ্লানাগান কথা বলেন। তিনি বলেন, “মনোলগ এখন হারিয়ে যাওয়া এক শিল্প। অথচ একজন অভিনেতাকে শুধু শব্দ দিয়ে বাস্তবতা বদলে দিতে দেখা সবচেয়ে শক্তিশালী জিনিস। আমি স্টুডিওর সঙ্গে বারবার এ নিয়ে লড়াই করি। তারা চায় মনোলগ ছোট করতে। কিন্তু আমি চাই এই শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে।”

‘দ্য লাইফ অব চক’ সিনেমায় টম হিডলস্টন অভিনয় করেছেন। সিনেমাটিতে তার জীবনের ঘটনা উল্টো ক্রমে দেখানো হয়েছে এবং এতে বিশ্ব ও মহাবিশ্বের ওপর তার জীবনের প্রভাব ফুটে উঠেছে। স্টিফেন কিংয়ের আরেকটি উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হলেও এটি ফ্লানাগানের পূর্বের কাজগুলোর তুলনায় কম হররনির্ভর।

RELATED NEWS

Latest News