বক্স অফিসে এই সপ্তাহে এগিয়ে রয়েছে ডিজনির ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’, আর পিছিয়ে পড়ছে জন উইক ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম স্পিনঅফ ‘ব্যালেরিনা’।
ডিজনির লাইভ-অ্যাকশন ব্লকবাস্টার ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ টানা তৃতীয় সপ্তাহে শীর্ষে অবস্থান করছে। চলতি সপ্তাহে সিনেমাটি আরও ৩৩ মিলিয়ন ডলার আয়ের মাধ্যমে মার্কিন বক্স অফিসে ৩৩৬ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে। বিশ্বব্যাপী এর আয় ৬৫০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
অন্যদিকে, ‘ব্যালেরিনা’ প্রত্যাশার তুলনায় কম সাড়া পাচ্ছে। ৩০ থেকে ৩৫ মিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এটি প্রথম সপ্তাহে ২৫ থেকে ২৭ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে আয় করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ৩,৪০৯টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি মুক্তির দিনে ১০.৮ মিলিয়ন ডলার আয় করলেও দ্বিতীয় দিনে স্থান হারাবে বলে ধারণা।
অবশ্য দর্শকদের প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক। সিনেমাটি ‘এ- মাইনাস’ সিনেমাস্কোর পেয়েছে এবং রটেন টমেটোসে ৯৪ শতাংশ পছন্দের স্কোর রয়েছে। তাই ভবিষ্যতে ভালো আয়ের সম্ভাবনাও রয়েছে।
‘ব্যালেরিনা’ সিনেমায় ইভ ম্যাকারো চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনা দে আরমাস। জন উইক চরিত্রে কিয়ানু রিভসও অতিথি চরিত্রে উপস্থিত। সিনেমার গল্প আবর্তিত হয়েছে ‘জন উইক: চ্যাপ্টার থ্রি – প্যারাবেলাম’ এর সময়কালীন ঘটনার মধ্যে।
বর্তমানে পুরুষ দর্শকের মধ্যে ‘ব্যালেরিনা’ বেশি জনপ্রিয়, যার হার ৬৩ শতাংশ। প্রযোজনা খরচের বড় অংশ বিদেশি বিক্রয় থেকে সংগ্রহ করেছে লায়ন্সগেট এবং থান্ডার রোড ফিল্মস।
এদিকে পুরুষপ্রধান অ্যাকশন ঘরানার সিনেমাগুলোর মধ্যে এখনো শক্ত অবস্থানে রয়েছে ‘মিশন ইম্পসিবল: দ্য ফাইনাল রেকনিং’। টম ক্রুজের সর্বশেষ এই স্পাই সিনেমাটি ১৫ মিলিয়ন ডলার আয় করে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
Sony-এর ‘কারাতে কিড: লেজেন্ডস’ দ্বিতীয় সপ্তাহে ৫৭ শতাংশ আয় কমে ৮.৭ মিলিয়ন ডলারে নেমেছে।
এ ছাড়া নিউ লাইনের ‘ফাইনাল ডেস্টিনেশন: ব্লাডলাইনস’ চতুর্থ সপ্তাহেও শীর্ষ পাঁচের মধ্যে রয়েছে।
ফোকাস ফিচার্সের ওয়েস অ্যান্ডারসনের নতুন সিনেমা ‘দ্য ফিনিশিয়ান স্কিম’ সম্প্রসারিত মুক্তির মাধ্যমে ৫.৭ মিলিয়ন ডলার আয় করতে পারে।
চলতি সপ্তাহে দর্শকদের আকর্ষণে এগিয়ে রয়েছে ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’। তবে ‘ব্যালেরিনা’র ভালো দর্শক প্রতিক্রিয়া ভবিষ্যতে সিনেমাটিকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে।