Sunday, June 22, 2025
Homeআন্তর্জাতিকইউক্রেন যুদ্ধ: আলোচনার সব পথ বন্ধ করলেন পুতিন, রাশিয়া পাল্টা জবাবের প্রস্তুতিতে

ইউক্রেন যুদ্ধ: আলোচনার সব পথ বন্ধ করলেন পুতিন, রাশিয়া পাল্টা জবাবের প্রস্তুতিতে

ইউক্রেনের সাম্প্রতিক ড্রোন হামলার পরিপ্রেক্ষিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শান্তি আলোচনা ও যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাকে সোজাসাপ্টা ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, “যারা সন্ত্রাসের ওপর নির্ভর করে, তাদের সঙ্গে আলোচনার কিছু নেই।”

পুতিন বলেন, “যুদ্ধবিরতির সুযোগ নিয়ে কিয়েভ বাহিনী নিজেদের সামরিক শক্তি পুনর্গঠন করবে। এই পরিস্থিতিতে কোনো সম্মেলন বা আলোচনা সম্ভব নয়।” ইউক্রেন সম্প্রতি রাশিয়ার চারটি কৌশলগত বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালায়। এতে অন্তত ৪০টি কৌশলগত বোমারু বিমান ধ্বংস হয় বলে দাবি করেছে কিয়েভ। এর মধ্যে ছিল বিরল রুশ A50 গোয়েন্দা বিমানও।

পুতিন এসব হামলাকে ‘সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ বলে অভিহিত করেন এবং অভিযোগ করেন, ইউক্রেন এ হামলা চালিয়ে শান্তি আলোচনার পথ নষ্ট করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার অভিযোগ

যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানত কি না, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেনারেল কিথ কেলগ বলেছেন, ইউক্রেনের এ হামলা মস্কোর কাছ থেকে ‘অপ্রত্যাশিত ও বিপজ্জনক প্রতিক্রিয়া’ ডেকে আনতে পারে।

প্রফেসর পিটার কুজনিক, আমেরিকান ইউনিভার্সিটির ইতিহাসবিদ, মনে করেন, শান্তি আলোচনার সব দরজা বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্র জানত না, তাহলে এটা উদ্বেগজনক। আর জানলেও সেটা পুতিনের আস্থার উপর বড় ধাক্কা।”

পারমাণবিক ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইউক্রেনের এই ‘স্পাইডারওয়েব’ অভিযানে রাশিয়ার পরমাণু প্রতিরক্ষা কাঠামো আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় পরিস্থিতি এখন ১৯৬২ সালের কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। পুতিনের নিজ দলের হাকিদের চাপ রয়েছে পাল্টা শক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানোর জন্য।

রাশিয়া ইতোমধ্যে আরাশনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেনের কিছু সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে কার্যকর কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আগামী ১৫ বছরেও তৈরি হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জেনারেল ম্যাকমাস্টার।

বিশ্ব সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপের আহ্বান

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুদ্ধের মাত্রা যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাতে জরুরি ভিত্তিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডাকা প্রয়োজন। কূটনৈতিক সমাধানের পথ আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।

এদিকে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্রে তারা দ্রুত অগ্রগতি অর্জন করছে এবং এ যুদ্ধের মাধ্যমে জয় অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

RELATED NEWS

Latest News