দীর্ঘ পনেরো বছরের যাত্রার পর অবশেষে বিদায় জানাতে চলেছে জনপ্রিয় ব্রিটিশ ঐতিহাসিক নাট্যধর্মী সিরিজ ‘ডাউনটন অ্যাবি’। নির্মাতা জুলিয়ান ফেলোসের এই ক্লাসিক কাহিনী এবার শেষ হতে চলেছে ‘ডাউনটন অ্যাবি: দ্য গ্র্যান্ড ফিনালে’ সিনেমার মাধ্যমে। প্রকাশিত হয়েছে সিনেমার প্রথম অফিসিয়াল ট্রেলার, যা দর্শকদের আবেগে ভাসিয়ে দিয়েছে।
সিরিজের প্রেক্ষাপট শুরু হয় টাইটানিক ডুবে যাওয়া থেকে। এরপর আসে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, স্প্যানিশ ফ্লু, আইরিশ স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং কুড়ির দশকের ঝাঁকুনি। এই পুরো সময়জুড়ে দর্শকরা সঙ্গী হয়েছে গ্র্যানথাম পরিবারের উত্থান-পতনের। ছয়টি সিজন এবং দুটি সিনেমার পর, এবার আসছে শেষ অধ্যায়।
ট্রেলারে দেখা যাচ্ছে লর্ড ও লেডি গ্র্যানথাম রেস ডেতে সেজে উঠেছেন, ফিরে এসেছে পল গিয়ামাত্তির চরিত্র হ্যারল্ড লেভিনসন। করসনের চোখে জল, লর্ড রবার্ট বাড়ির দেয়ালে হাত রেখেছেন—সবকিছু যেন এক বিদায়ের পূর্বভাস দিচ্ছে।
ট্রেলারটি হল:
চরিত্রদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিনেমার সংক্ষিপ্ত প্লট বলছে, “এই সিনেমা নতুন যুগে প্রবেশ করা গ্র্যানথাম পরিবার ও তাদের কর্মীদের গল্প তুলে ধরবে। ১৯৩০-এর দশকের শুরুতে তারা ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হওয়ার পথে নানা পরিবর্তন ও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবে।”
পুরনো চরিত্রদের সঙ্গে থাকছে নতুন মুখ—জোলি রিচার্ডসন, আলেসান্দ্রো নিভোলা, সাইমন রাসেল বিয়েল এবং আর্টি ফ্রুশান। যদিও ম্যাথিউ গুড ও প্রয়াত ম্যাগি স্মিথ অনুপস্থিত থাকবেন, তবুও অন্যান্য চরিত্রদের উপস্থিতি সিনেমাটিকে পূর্ণতা দেবে বলে প্রত্যাশা।
অনেক প্রশ্ন ঘুরছে দর্শকমনে। কেন করসন কাঁদছে? মিডিয়া কেন লেডি ম্যারির ছবি তুলছে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর মিলবে সিনেমার মুক্তির পর।
‘ডাউনটন অ্যাবি: দ্য গ্র্যান্ড ফিনালে’ মুক্তি পাবে ১২ সেপ্টেম্বর। সিনেমা হলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিন, আর সাথে হ্যান্ডকিচিফ নিতে ভুলবেন না।