আসন্ন আন্তর্জাতিক বিরতিতে বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী শুক্রবার ভোর ৭টায় চিলির মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচ সামনে রেখে স্কালোনির ঘোষিত স্কোয়াডে এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন। ইনজুরি ও সাসপেনশনের কারণে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে হারাতে যাচ্ছে দলটি, যা মিডফিল্ড ও ডিফেন্সে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
অ্যলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার ইনজুরির কারণে স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন। তার জায়গায় দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন এমিলিয়ানো বুয়েনদিয়া, যিনি ইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এবং সম্প্রতি বেয়ার লেভারকুসেনে লোনে খেলেছেন। তবে সবচেয়ে বড় ধাক্কা এসেছে সাসপেনশন থেকে। পারাদেস, এনজো ফার্নান্দেস ও ওটামেন্ডি খেলতে পারছেন না চিলির বিপক্ষে।
ফলে মিডফিল্ডের ভার পড়ছে মূলত রড্রিগো ডি পলের ওপর। ইনজুরি আক্রান্ত লো চেলসো নিয়েও রয়েছে সংশয়। এই অবস্থায় থিয়াগো আলমাদা, এনজো বারেনেচিয়া, এজিকুয়েল প্যালেসিস ও নিকো পাজের মতো তরুণ মিডফিল্ডারদের স্কালোনি খেলাতে পারেন। সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক ম্যাচে ভালো খেলা আলমাদা হতে পারেন দলের জন্য বড় ভরসা।
ডিফেন্সেও থাকছে পরিবর্তনের ছাপ। ওটামেন্ডি না থাকায় রোমেরোর সঙ্গী হতে পারেন লিওনার্দো বালারদি। নতুন মুখ হিসেবে আছেন ইনডিপেনডিয়েন্টের কেভিন লোমোনাকো ও বেলগ্রানোর মারিয়ানো ট্রইলো। ডান ও বাঁ প্রান্তে সুযোগ পেতে পারেন ভ্যালেন্টিন বারকাস ও হুয়ান ফয়থ।
ফরোয়ার্ড লাইনে ফিরছেন লিওনেল মেসি। ক্লাব ফুটবলে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মেসি ইন্টার মিয়ামিতে সর্বশেষ ম্যাচে দুইটি করে গোল ও অ্যাসিস্ট করে এসেছেন। পাশাপাশি নজর থাকবে ফ্রাঙ্কো মাস্তান্তুনে। এই তরুণ ফরোয়ার্ডকে নিয়ে এনজো ফার্নান্দেস পর্যন্ত বলেছেন, তিনি ভবিষ্যতের তারকা হয়ে উঠতে পারেন। জাতীয় দলে তার উপস্থিতি আর্জেন্টিনার স্কোয়াড গঠনের ভবিষ্যৎ রূপরেখা নির্ধারণে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আর্জেন্টিনা ইতিমধ্যে বিশ্বকাপের জন্য কোয়ালিফাই করেছে। ফলে এই ম্যাচে রেজাল্টের চেয়ে তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়া এবং বিকল্প স্কোয়াড গঠনের দিকেই মনোযোগ বেশি থাকবে স্কালোনির। কোচ স্কালোনি এই ম্যাচে একজন বা দুইজন নতুন খেলোয়াড়কে স্থায়ীভাবে দলে জায়গা করে দিতে পারেন।
সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ব্রেকে থিয়াগো আলমাদা যেমন নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছেন, তেমনি এবারও নতুন মুখদের পারফরমেন্সের ওপর নির্ভর করবে তারা ২০২৬ বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকবেন কি না। স্কালোনি চাইছেন, স্কোয়াড ডেপথ বাড়াতে এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত রাখতে এমন ম্যাচগুলোকে কাজে লাগাতে।
আর্জেন্টিনার এই ম্যাচে চোখ থাকবে যেমন ফলাফলের ওপর, তেমনি নতুন তারকাদের আত্মপ্রকাশের দিকেও। এটাই হতে পারে ভবিষ্যতের জাতীয় দলের ভিত্তি তৈরি করার সুযোগ।
