পাকিস্তান সফর শেষ করে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। এ সফরে ব্যর্থতার রেশ এতটাই গভীর যে, ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পরই খেলোয়াড়দের মুখে দেখা যায় স্পষ্ট হতাশার ছাপ।
সবার আগে বের হন ওপেনার তানজিদ তামিম। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে তুলনামূলকভাবে খানিকটা উজ্জ্বল ছিলেন তিনি। তবে মুখভঙ্গি জানান দিচ্ছিল, সিরিজে দলের পারফরম্যান্স তাকে তৃপ্ত করতে পারেনি।
তার পরেই বের হন তরুণ অলরাউন্ডার তানজিম হাসান সাকিব। বল হাতে বরাবরের মতোই নির্ভরযোগ্য ছিলেন, তবে এবারে ব্যাট হাতেও বিস্ময় উপহার দেন। বিশেষ করে সিরিজের শেষ ম্যাচে নয় নম্বরে নেমে পাঁচটি ছক্কা মেরে ৫০ রান তুলেছিলেন ১৬১ স্ট্রাইক রেটে। এমনকি তিন বলে আট রান করেও স্ট্রাইক রেট ছুঁয়েছেন ২৬৬। সব মিলিয়ে দলকে দেখিয়েছেন তার বহুমাত্রিক সামর্থ্য।
এরপর এয়ারপোর্ট ছাড়েন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। আমিরাত সিরিজের পর পাকিস্তানেও টানা হারে সবচেয়ে বেশি চাপে তিনিই। প্রথম ম্যাচে কিছুটা আশার আলো দেখা গেলেও পরবর্তী দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে ছিলেন নিস্প্রভ। চাপ ও ব্যর্থতার ছাপ ছিল স্পষ্ট তার চোখেমুখে।
তাঁর ঠিক পাশ দিয়েই বের হন শামিম হোসেন পাটোয়ারী। মিডল অর্ডারে যার ওপর ছিল বড় প্রত্যাশা, তিনি তিন ম্যাচে করেছেন মাত্র ১৯ রান। প্রত্যাশা আর বাস্তবতার মধ্যে ব্যবধান স্পষ্ট করে দিয়েছেন শামিম।
সবশেষে বিমানে থেকে বের হন নাজমুল হোসেন শান্ত। কদিন আগেও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি, অথচ পাকিস্তান সফরে এক ম্যাচেও একাদশে জায়গা পাননি। কেবল অধিনায়কত্বই নয়, এবার একাদশের বাইরে থাকাটাও হয়ে দাঁড়িয়েছে নিয়মিত বিষয়। বেঞ্চে বসেই শেষ হয়েছে তার পুরো সফর।
এই ব্যর্থ সফর থেকে ঘুরে দাঁড়ানোই এখন টাইগারদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে নতুন করে ভাবতে হবে ফিটনেস, মানসিক প্রস্তুতি এবং স্কিল উন্নয়ন নিয়ে।
সময় খুব বেশি নেই, চাপ অনেক। তবে ক্রিকেটাররা জানেন, এখানেই থেমে থাকলে চলবে না। কারণ, এখনো সব শেষ হয়ে যায়নি। লিটন, শান্ত, সাকিব ও বাকিরা আগামী সিরিজে নিজেদের প্রমাণ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেই আশা করছে ক্রিকেটপ্রেমীরা।
