বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদ ফিরে পেতে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ। তবে আদালত তার করা রিটটি প্রাথমিক শুনানির পরই কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেয়, অর্থাৎ রিটটি আমলে নেওয়া হয়নি।
সোমবার হাইকোর্টে রিটের শুনানিতে বিচারক মত প্রকাশ করেন যে এটি এমন ধরনের মামলা নয়, যার ওপর রুল জারি করা যায়। আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, এই বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে এবং আদালত হস্তক্ষেপের পর্যাপ্ত যুক্তি খুঁজে পাননি।
বিসিবির আইনজীবীর ভাষ্য অনুযায়ী, ফারুক আহমেদ নিজেও নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন না। বরং তাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আহ্বানে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক নিযুক্ত করা হয়েছিল। এরপর নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে গত ৩০ মে তার পরিচালকের পদ বাতিল করে ক্রীড়া পরিষদ, ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সভাপতির পদও হারান তিনি।
নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান আমিনুল ইসলাম বুলবুল। বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গঠনতন্ত্র মেনেই বুলবুলকে সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। তারা জানান, ৯ জন পরিচালকের মধ্যে ৮ জন ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেন, যা এনএসসিকে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন:
অন্যদিকে ফারুক আহমেদের আইনজীবী দাবি করেন, তার নিয়োগ বাতিল করা অবৈধ। তিনি এখনো বিসিবির পরিচালকের পদে আছেন এবং সেই সূত্রেই সভাপতি পদে তার দাবি রয়েছে।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে ফারুক আহমেদকে বিসিবির সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই পদচ্যুতি ঘটে নানা বিতর্কে। আদালতের দ্বারস্থ হয়ে ফেরার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তার সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, বিষয়টি শুধু আইনি নয় বরং গভীর রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রেক্ষাপটের সাথে জড়িত। দেশের ক্রিকেট প্রশাসনে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া এবং জবাবদিহিতার বিকল্প নেই।