Sunday, June 22, 2025
Homeআন্তর্জাতিকট্রাম্প দেখছেন পুতিন সত্যিই শান্তি চান কিনা, ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির আলোচনা স্থবির

ট্রাম্প দেখছেন পুতিন সত্যিই শান্তি চান কিনা, ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির আলোচনা স্থবির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক; ঢাকা, ১লা জুন ২০২৫: রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা এখনও কোনো ফল দিচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছুটা সময় দিচ্ছেন রাশিয়াকে, যাতে বোঝা যায় তারা আসলেই আলোচনায় আগ্রহী কি না।

সম্প্রতি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে কথা বলেন ডিফেন্স অ্যানালিস্ট এবং আটলান্টিক কাউন্সিল ও জেমসটাউন ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ ফেলো কর্নেল রিচ আলজেন।

সাংবাদিক মুহাম্মদের সঙ্গে কথোপকথনে আলজেন বলেন, “দুই পক্ষই এখনও লড়াই চালানোর সক্ষমতা ও ইচ্ছা রাখে। কিন্তু উভয়েই জানে, যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ হলে যুদ্ধক্ষেত্রের হিসাব বদলে যেতে পারে।”

আলজেন জানান, ইউক্রেন বলছে তারা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত, কিন্তু শর্ত হচ্ছে—রাশিয়াকে আগে তাদের প্রস্তাব স্পষ্ট করতে হবে।

“তারা বোঝাচ্ছে, ‘আমরা প্রস্তুত’, কিন্তু আগে রাশিয়া কী চায়, সেটা খোলাসা করতে হবে,” বলেন আলজেন।

তিনি আরও বলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে এখনও রাশিয়ার আগ্রাসন অব্যাহত। ড্রোন হামলা বেড়েছে। আনুমানিক ৫০ হাজার সেনা ফ্রন্টলাইনে সক্রিয়। এই চাপ চলতে থাকলে ইউক্রেনের জনগণের মনোবল কমে যেতে পারে।

রাশিয়ার সদিচ্ছা নিয়ে ট্রাম্প বলেন, “দুই সপ্তাহ সময় দিন। তখন বোঝা যাবে রাশিয়া আসলেই আলোচনায় আসতে চায়, নাকি কেবল সময় পার করছে।”

আলজেনের মতে, ট্রাম্প এখনো মনে করছেন ভ্লাদিমির পুতিন পুরোপুরি অযৌক্তিক নন। ট্রাম্প এই মুহূর্তে বুঝতে চাইছেন, পুতিন কী আসলেই ন্যাটো সম্প্রসারণকে হুমকি হিসেবে দেখছেন, নাকি অন্য কোনো লক্ষ্য রয়েছে তার।

আরও পড়ুন:

“ট্রাম্প তাকে সুযোগ দিচ্ছেন। একরকম রাজনৈতিক ঝুঁকিও নিচ্ছেন। কারণ, ওয়াশিংটনের বেশিরভাগ মানুষ মনে করে এখন পুতিনকে আর সুবিধা দেওয়ার কিছু নেই,” বলেন আলজেন।

তবে ট্রাম্প যদি মনে করেন পুতিন তাকে ‘ঘুরাচ্ছেন’, তাহলে বড় ধরনের পাল্টা পদক্ষেপ আসতে পারে।

“তখনই শুরু হবে অস্ত্র সহায়তা, ট্রেনিং, এবং ইউক্রেনের পক্ষে পূর্ণ সামরিক সমর্থন,” বললেন আলজেন। “রাশিয়া এখনই প্রায় সর্বোচ্চ পরিমাণে সৈন্য মোতায়েন করে রেখেছে। পশ্চিমা সহায়তা বাড়লে পুতিনের জন্য পরিস্থিতি কঠিন হয়ে যাবে।”

এই মুহূর্তে ট্রাম্প অপেক্ষায়। ইউক্রেন নিজেকে প্রস্তুত দেখাচ্ছে, কিন্তু আগে রাশিয়াকে চাল দিতে বলছে।

সবকিছু মিলিয়ে, এক অদৃশ্য থেমে থাকা চলছে। ছোট ছোট বার্তা, ছোট ছোট হুঁশিয়ারি।

এই দুই সপ্তাহে কী বদলাবে কিছু?

নাকি এটি কেবল যুদ্ধের আরেকটি অধ্যায়, যেখানে কেউই এখনও থামার জন্য প্রস্তুত নয়?

এই প্রশ্নের উত্তর এখনও পরিষ্কার নয়।

RELATED NEWS

Latest News