আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের নিরাপত্তা সংস্থা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাকিস্তানি গুপ্তচরদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে। অপারেশন সিন্দুর নামক এই কর্মসূচির মাধ্যমে পাকিস্তানের ইন্টারসার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (ISI) সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহভাজনদের গ্রেফতারে তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন পেশা ও অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (CRPF) একজন সহকারী উপ-পরিদর্শককে Pelgam অঞ্চলে পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সঙ্গে তথ্য শেয়ার করার অভিযোগে আটক করা হয়েছে। এই তথ্যের মধ্যে রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী অমিত শাহর ভ্রমণের বিবরণ, CRPF টহলের তথ্য ও বিভিন্ন পর্যটন স্পট বন্ধের খবর।
মহারাষ্ট্র থেকে একজন ২৭ বছর বয়সী ইঞ্জিনিয়ারকে আটক করা হয়েছে, যিনি ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের পাঠানোর অভিযোগে গ্রেফতার হন। তিনি ফেসবুকে এক ভুয়া নারী প্রোফাইলের ফাঁদে পড়েছিলেন বলে জানা গেছে।
রাজস্থান থেকে এক সরকারি কর্মীসহ আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল সিম কার্ড সরবরাহ করে গুপ্তচরবৃত্তি সাহায্যের অভিযোগ রয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ থেকে তিনজনকে গুপ্তচরবৃত্তি এবং ISI’র জন্য অর্থ সংগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
- জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগে পাকিস্তানকে আবারও FATF-এর ধূসর তালিকাভুক্ত করতে চায় ভারত
- জাতির উদ্দেশে মোদির হুঁশিয়ারি: পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল বরদাশত করা হবে না
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের কনট্রা ইন্টেলিজেন্স ইউনিট অপারেশন সিন্দুরের অংশ হিসেবে বুদগাম, উলওয়ামা, কুপারা, চোপিয়ান এবং শ্রীনগর জেলায় একাধিক রেইড চালিয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিগত সিগনেচারগুলো সেখানে শনাক্ত করা হয়েছে।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি নির্বাচনী সভায় জানিয়েছেন, অপারেশন সিন্দুর এখনো শেষ হয়নি। এই অভিযান চলমান রয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের সনাক্তকরণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, সিম কার্ড এবং আইপি ঠিকানার মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় তারা কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং যেকোনো হুমকির মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।