ঢাকা, ৩০ মে, ২০২৫ (ডেপ্রবা) : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ, দেশপ্রেম, সততা ও কর্মনিষ্ঠা জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি বলেন, শহিদ জিয়ার মহান আদর্শ, দর্শন ও কর্মসূচি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সংহতকরণ, বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।
বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, “৩০ মে মহান নেতার শাহাদত বার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমাদের প্রতিজ্ঞা নবায়ন করতে হবে।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “গতবছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা শেখ হাসিনার সরকার পতনের সূচনা করেছিল। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে রক্তের এই বিজয়কে পূর্ণতা দিতে হবে।”
আরও পড়ুন:
তিনি আরও বলেন, “অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ, জবাবদিহিতামূলক শাসন এবং নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা ছাড়া গণতন্ত্র টেকসই হয় না। শহিদ জিয়ার দেখানো পথেই জাতীয় সংকট উত্তরণ সম্ভব।”
মির্জা ফখরুল আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “১৬ বছরের দুঃশাসনে জনগণের অধিকার হরণ করেছে ফ্যাসিবাদী সরকার। সম্পদ লুট করে এক মাফিয়া অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করেছে তারা।”
তিনি জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক অবদান স্মরণ করে বলেন, “রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণের পরই তিনি ফিরিয়ে দেন বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। বাংলাদেশকে খাদ্য আমদানিকারক থেকে খাদ্য রপ্তানিকারক দেশে রূপান্তর করেন।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “জিয়ার জনপ্রিয়তা দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারী শক্তি মেনে নিতে পারেনি। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করে তারা।”
তিনি জাতীয় জীবনের প্রতিটি সংগ্রামে শহিদ জিয়ার আদর্শ অনুসরণে ইস্পাত কঠিন গণঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
