Sunday, November 23, 2025
Homeখেলাধুলাচেলসির কঠিন জয়, দ্বিতীয় স্থানে উঠে আর্সেনালের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে এনজো মারেস্কার...

চেলসির কঠিন জয়, দ্বিতীয় স্থানে উঠে আর্সেনালের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে এনজো মারেস্কার দল

বার্নলিকে ২-০ গোলে হারিয়ে শিরোপার দৌড়ে গতি বাড়াল ব্লুজরা; সামনে বার্সেলোনা ও আর্সেনাল চ্যালেঞ্জ

প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয়ের চ্যালেঞ্জে গতি বাড়াল চেলসি। শনিবার টারফ মুরে অবনমন ঝুঁকিতে থাকা বার্নলির বিপক্ষে ২-০ গোলে কঠিন জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ব্লুজরা।

ম্যাচের বিরতির ঠিক আগে পেদ্রো নেটো দলকে এগিয়ে দেন এবং খেলার শেষ মুহূর্তে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজ।

এনজো মারেস্কার অধীনে চেলসি বর্তমানে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের চেয়ে মাত্র তিন পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে। আর্সেনাল রবিবার টটেনহ্যামের বিপক্ষে মাঠে নামবে। তবে শনিবার রাতে ম্যানচেস্টার সিটি যদি নিউক্যাসলের বিপক্ষে জয় এড়িয়ে যায়, তবে পশ্চিম লন্ডনের দলটি আপাতত দ্বিতীয় স্থানেই থাকবে। হাড় কাঁপানো ঠান্ডা ল্যাঙ্কাশায়ারে পাওয়া এই কষ্টার্জিত জয় তাদের শিরোপার দৌড়ে নতুন মোমেন্টাম দিয়েছে।

সকল প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ ১০ ম্যাচের মধ্যে আটটিতেই জয় তুলে নিয়েছে চেলসি। এই জয়টি ছিল কোচ মারেস্কার জন্য প্রিমিয়ার লিগে ৫০তম স্মরণীয় ম্যাচ। সামনের গুরুত্বপূর্ণ সপ্তাহের জন্য এটি ছিল আদর্শ প্রস্তুতি। যেখানে মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সেলোনা এবং ৩০ নভেম্বর প্রিমিয়ার লিগে আর্সেনালের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলবে তারা। অন্যদিকে, বার্নলি তাদের শেষ সাত লিগ ম্যাচের মধ্যে পঞ্চমত হারের স্বাদ পেল।

গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে চেলসিকে খেলতে হয় তারকা ফরোয়ার্ড কোল পালমারকে ছাড়া। কুঁচকির চোট কাটিয়ে অনুশীলনে ফেরার কথা থাকলেও, দুর্ঘটনাবশত দরজায় পায়ের আঙুল ঠুকে ফেলায় তার চোট দীর্ঘায়িত হয়েছে। এছাড়াও, আন্তর্জাতিক দায়িত্ব সেরে দেরিতে ফেরায় ক্লান্ত মিডফিল্ডার মইসেস কাইসেডোকে বেঞ্চে রাখতে বাধ্য হন মারেস্কা।

ম্যাচের শুরুতে চেলসি শিবির কিছুটা ধাক্কা খায়। পঞ্চম মিনিটে গোলরক্ষক রবার্ট সানচেজ ভুলবশত সজোরে বল ফার্নান্দেজের মাথায় মেরে দিলে আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডারকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য কনকাশন চেকআপ করাতে হয়। যদিও ফার্নান্দেজ খেলা চালিয়ে যান এবং এরপরই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় চেলসি।

৩৭তম মিনিটে সুন্দর বোঝাপড়ার মাধ্যমে প্রথম গোলটি আসে। মার্ক কুকুরেলা বার্নলির বক্সে একটি উঁচু বল দক্ষতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করে জ্যামি গিটেন্সকে পাস দেন। গিটেন্স নিখুঁত ক্রস বাড়ান দূরের পোস্টে, যা জালে জড়াতে নেটোকে কেবল ডাইভিং হেড করতে হয়। এর আগে ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের বক্সের মধ্যে হাত দিয়ে বল আটকালে পেনাল্টির জোরালো দাবি উঠেছিল, তবে রেফারির সিদ্ধান্তে বার্নলির সেই আশা ধূলিসাৎ হয়।

দ্বিতীয়ার্ধে চেলসির লিড প্রায় দ্বিগুণ হতে চলেছিল। ফার্নান্দেজের পাস থেকে নেটো জোরালো শট নিলেও তা পোস্টে লেগে ফিরে আসে। অন্যদিকে, বার্নলির জিয়ান ফ্লেমিং সহজ সুযোগ নষ্ট করে শট ক্রসবারের উপর দিয়ে মারেন।

ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে ফার্নান্দেজ গোল করে চেলসির জয় নিশ্চিত করেন। মার্ক গিউর পাস থেকে ক্লিনিক্যাল ফিনিশে গোল করে ব্যবধান ২-০ করেন এনজো ফার্নান্দেজ, যা বার্নলির প্রতিরোধ ভেঙে দেয়।

RELATED NEWS

Latest News