আলবেনিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় দিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে শতভাগ জয়ের রেকর্ড ধরে রাখলেও ইংল্যান্ডের ড্রেসিংরুমে এখন আলোচনার কেন্দ্রে জুড বেলিংহামের আচরণ। ম্যাচের শেষ দিকে তাকে বদলি করায় প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। এরপরই তাকে কড়া বার্তা দিয়েছেন কোচ টমাস টুখেল।
ম্যাচের ৮৪ মিনিটে হ্যারি কেইনের দ্বিতীয় গোলের পরপরই বেলিংহামকে তুলে নিয়ে মরগান রজার্সকে নামানোর সিদ্ধান্ত নেন টুখেল। সাইডলাইনে বদলির সংকেত দেখেই বাতাসে হাত ছুড়ে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেন ২২ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার।
ম্যাচ শেষে এই ঘটনা নিয়ে টুখেল কঠোর মনোভাব দেখিয়েছেন। তিনি বলেন, “এটা কোচের সিদ্ধান্ত এবং তাকে সেটা মেনে নিতেই হবে। তার বন্ধু সাইডলাইনে অপেক্ষা করছিল, তাই তোমাকে এটা মেনে নিতে হবে, সম্মান করতে হবে এবং এগিয়ে যেতে হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমি এটাকে বড় করে দেখতে চাই না, তবে আমি আমার কথায় অটল। আচরণই মূল বিষয় এবং যে সতীর্থ মাঠে নামছে, তার প্রতি সম্মান দেখানো জরুরি। কেউ হাত নেড়ে ক্ষোভ দেখালেই আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করব না।”
বেলহামের মেজাজ হারানোর ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে তার আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। টুখেল অক্টোবরের আন্তর্জাতিক বিরতিতে তাকে দলের বাইরে রেখেছিলেন এবং জানিয়েছিলেন, দলে জায়গা পেতে হলে তাকে লড়াই করতে হবে।
যদিও বেঞ্চে বসার আগে টুখেলের সঙ্গে হাত মেলান বেলিংহাম, তার এই হতাশা ইংল্যান্ড শিবিরে কিছুটা হলেও অস্বস্তি তৈরি করেছে। আগামী মার্চে দুটি প্রীতি ম্যাচের জন্য দল আবার একত্রিত হওয়ার আগে এই বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে।
তবে এই ঘটনা বাদ দিলে টুখেলের অধীনে ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্স বেশ উজ্জ্বল। বাছাইপর্বে টানা আটটি ম্যাচ জিতে কোনো গোল হজম না করেই তারা বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে। কোনো ইউরোপীয় দেশ হিসেবে কমপক্ষে ছয় ম্যাচের বাছাইপর্বে সবগুলো জিতে এবং কোনো গোল হজম না করার রেকর্ড গড়ল ইংল্যান্ড।
