ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রবিবার রাতে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় ছাত্রশক্তি। রাত প্রায় ৮টার দিকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি শেষে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সংগঠনের নেতারা পূর্বতন সরকার আমলে সংঘটিত বলে অভিযোগ করা গণহত্যা গুম বিচারবহির্ভূত হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দাবি করেন এবং সংশ্লিষ্ট মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের যে কোনো রায় নির্ভয়ে চাপমুক্ত ও রাজনৈতিক বিবেচনামুক্তভাবে বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন গত ১৭ বছরে ব্যাপক রাষ্ট্রদমন হয়েছে। সিদ্ধান্তে সহানুভূতির কোনো সুযোগ থাকবে না বলে তারা মন্তব্য করেন। কেউ বিচারপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করলে আইনের আওতায় আনার দাবি তোলেন সংগঠনের নেতারা। তাদের ভাষ্য এ মামলাগুলোতে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি থাকছে। এসব বক্তব্য সংগঠনের নেতাদের নিজস্ব দাবির ভিত্তিতে উপস্থাপিত হয় এবং অভিযোগের সত্যতা ও আইনি দায় নির্ধারণ আদালতে বিচারাধীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশক্তির সভাপতি তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী বলেন কিছু গোষ্ঠী গত দেড় দশকে সংঘটিত অপরাধকে খাটো করে দেখাতে চাইছে এবং রাজনৈতিক সহিংসতার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে তাদের আশঙ্কা। তিনি জানান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় পরিবর্তনের যে কোনো চেষ্টা প্রতিহত করা হবে।
কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদ আহসান দাবি করেন গত ১৭ বছরে রাষ্ট্র এসব অপরাধকে বৈধতা দিয়েছে এবং বিচারপ্রক্রিয়ায় বাধা এলে তার পরিণতি হবে। তিনি আরও বলেন জুলাইয়ের আন্দোলনের পর থেকে তাদের অনেক নেতা কর্মী গৃহহীন জীবনযাপন করছেন যা তাদের ভাষ্য অনুযায়ী গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের সংগ্রাম।
সমাবেশে পিলখানা হত্যাকাণ্ড শাপলা চত্বর অভিযান এবং বিএনপি জামায়াত–শিবিরের নিখোঁজ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারগুলোর ন্যায়বিচারের দাবিও পুনর্ব্যক্ত করা হয়। সংগঠনের নেতারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন গত ১৬ বছরের সহিংসতা শোক ও রাষ্ট্রদমনের প্রতিফলন যেন বিচারে প্রতিফলিত হয় এবং বিচারপ্রক্রিয়ায় কোনো অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক চাপে নতি স্বীকার করা যাবে না।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের প্রতিক্রিয়াও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি।
