হবিগঞ্জ, ৩০ মে, ২০২৫ (ডেপ্রবা) :হবিগঞ্জসহ দেশের অন্তত ছয়টি জেলায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে টানা ভারী বর্ষণ হচ্ছে। এর ফলে হাওরাঞ্চলের নদনদীর পানি দ্রুত বাড়ছে এবং আগামী তিন দিনের মধ্যে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম বড়ুয়া জানান, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁইছুঁই করছে। খোয়াই, মনু, ধলাই, জাদুকাটা, সারিগোয়াইং ও সোমেশ্বরী নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে বলে সতর্ক করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বিশেষ করে হবিগঞ্জ জেলার খোয়াই নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় জেলার নিম্নাঞ্চল ঝুঁকিতে পড়েছে। মৌলভীবাজারে মনু ও ধলাই নদীর পানি ক্রমেই বাড়ছে এবং তা বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। হবিগঞ্জের সব উপজেলায় ইতিমধ্যে ২৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং ১ হাজার ৬৫০ বস্তা শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৩টি আশ্রয়কেন্দ্র, যেখানে প্রয়োজনে বন্যা দুর্গত মানুষদের স্থানান্তর করা হবে।
হবিগঞ্জে আজ সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। দমকা হাওয়াসহ আকাশে অস্থিরতা বিরাজ করছে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদীতীরবর্তী বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, আগামী তিনদিন সারিগোয়াইং, জাদুকাটা, মনু, ধলাই, খোয়াই ও সোমেশ্বরী নদীর পানি আরও বাড়বে এবং কয়েকটি স্থানে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
প্রশাসনের পাশাপাশি ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদফতর থেকেও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জনসাধারণকে অনুরোধ করা হয়েছে, দুর্যোগকালীন যেকোনো প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে। তাই নদীতীরবর্তী এলাকাগুলোর মানুষকে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির উপর দৃষ্টি রাখছে স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলো।