আয়ারল্যান্ডের স্পিনার ম্যাথিউ হামফ্রিস প্রকাশ করেছেন, সফরকারী বোলাররা বাংলাদেশের স্পিনারদের বিশেষ করে তাইজুল ইসলামকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। সাবকন্টিনেন্টে নিজেদের কৌশল উন্নয়নে এই পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
তিনি স্বীকার করেন, এই অঞ্চলে স্পিন বোলিংয়ের জন্য ভিন্ন দক্ষতা প্রয়োজন। আইরিশ বোলাররা শিখতে আগ্রহী। হামফ্রিস বলেন, “সে (তাইজুল) এই কন্ডিশনে সেরাদের একজন এবং দীর্ঘদিন ধরে আছে। আমরা তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি। আমরা দেখি তারা কীভাবে বোলিং করছে এবং নিজেদের খেলায় প্রয়োগ করার চেষ্টা করি। কিন্তু কখনো কখনো কঠিন হয়, কারণ আমরা এই কন্ডিশন এই লোকদের মতো ভালো জানি না।”
এদিকে তাইজুল ইতিহাস গড়েছেন। সিলেট টেস্টে আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে হ্যারি টেক্টরকে আউট করে তিনি ফার্স্টক্লাস ক্রিকেটে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন। বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে এই কীর্তি গড়েন তিনি।
তাইজুলের এই অর্জন বাংলাদেশের স্পিন বোলিংয়ের ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। সাবকন্টিনেন্টের কন্ডিশনে তার দক্ষতা বিদেশি খেলোয়াড়দের অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে। আইরিশ দল সফরে এসে স্থানীয় স্পিনারদের কাছ থেকে শিখে নিজেদের উন্নয়ন করতে চাইছে।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চলমান টেস্টে বাংলাদেশের স্পিনাররা প্রভাব বিস্তার করছেন। তাইজুলের পাশাপাশি নাঈম হাসান এবং অন্যান্যরা আইরিশ ব্যাটারদের চাপে রেখেছেন। হামফ্রিসের মতো তরুণ স্পিনাররা এই অভিজ্ঞতাকে ভবিষ্যতের জন্য মূলধন হিসেবে দেখছেন।
আয়ারল্যান্ডের স্পিন বিভাগ সাবকন্টিনেন্টে সাধারণত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। এই সফর তাদের জন্য শিক্ষণীয়। হামফ্রিস বলেন, কন্ডিশন বোঝা এবং অভিযোজনই সাফল্যের চাবিকাঠি।
তাইজুলের ৫০০ উইকেটের মধ্যে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কন্ডিশনে অর্জিত। তার লাইন-লেংথ এবং ভ্যারিয়েশন স্পিনারদের জন্য আদর্শ। আইরিশ দল এই সিরিজ থেকে শিখে পরবর্তী সফরে আরও প্রস্তুত হতে চায়।
