প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ নিয়ে গণভোট আয়োজনের বিষয়ে সরকার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হলে তবেই নির্বাচন কমিশন মত দিতে পারবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের দ্বিতীয় অধিবেশনের সময় সাংবাদিকদের পাঠানো লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, “বিষয়টি যদি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, আমরা প্রয়োজনীয় কাজ করব, কমিশনে বসে আলোচনা করব, তারপর মত দিতে পারব। এখনই মত দেওয়া সমীচীন নয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমি প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য শুনিনি, কারণ তখন সংলাপে ছিলাম। তাই এখন কোনো মন্তব্য করতে চাই না।”
এর আগে বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস ঘোষণা দেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, “গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। এটি সংস্কার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে না; বরং নির্বাচনী উৎসবের আবহ বাড়াবে এবং ব্যয়ও কমাবে।”
প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, “গণভোট আয়োজনের জন্য যথাসময়ে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা হবে। নির্বাচনের জন্য উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরির প্রস্তুতি চলছে।”
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করলে খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে। আলাদা দিনে গণভোট আয়োজন করতে গেলে খরচ হবে প্রায় ৮০০ থেকে ১,০০০ কোটি টাকা। কিন্তু একই দিনে আয়োজন করা হলে ব্যয় নামবে ৩০০ থেকে ৪০০ কোটির মধ্যে।
নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, আগামী ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২,৮০০ কোটি টাকা, যা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
